* রোগী জনদুর্ভোগে, দিনক্ষণে দেখা মেলেনি চিকিৎসক
* জনবল সংকট দাবি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার

ভবন এবং সরকারি সরঞ্জাম কিছুই আছে, কিন্তু কাঙ্খিত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসহায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী। তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব মনে করছেন সচেতন মহল।
তথ্য অনুসন্ধানে এমন চিত্র পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার অধিকাংশ ইউনিয়নের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। সুত্রে মতে, গেল গত বৃহস্পতিবার দুপুর বারটার দিকে উপজেলা পদুয়া ইউনিয়নে দুই নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া এলাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। এবং অনেক দিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মীকে রোগীরা সেবা ও দেখা পাচ্ছে না এমন খবরে গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনে গেইটে উঠানে ত্রিশজনের মত বৃদ্ধা বয়স্ক রোগী নারী পুরুষ অপেক্ষায় রয়েছে। এসময় স্থানীয় সেবা নিতে আসা বৃদ্ধ রোগী আবুল হাসেম বলেন, আমি বিগত এক সপ্তাহ ধরে ফ্রি চিকিৎসা ওষুধের জন্য সকাল থেকে বসে রয়েছি। কোন স্বাস্থ্য কর্মীর দেখা পাচ্ছিনা।
রাবেয়া বসরী নামে বৃদ্ধা মহিলা জানান, আমার কোন ছেলে মেয়ে নেই, কয়েক ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভোগতেছি। কিন্তু আমার এলাকায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র ওষুধ নেওয়ার মতো কাউকে দেখছি না।
আরেক মহিলা যুবতী বলেন, বিগত পনের দিন ধরে এই হাসপাতালে সকাল হতে এসে অপেক্ষা করে কারো দেখা না পেয়ে চলে যায়। আবার অনেক রোগীরা রাগান্বিত হয়ে গালমন্দ করে ফিরে যায়। তারা বলেন, সেবা না থাকলে এই কেন্দ্রে রাখা প্রয়োজন কি।
এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, বদলী হওয়ার জনিত টাইফয়েড ক্যাম্পিং বাস্তবায়নে এবং জনবল সংকটের কারেণে এমন টা হচ্ছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডাক্তার মোঃ ফজলে রাব্বি জানান, দ্রুত সময়ে জেনেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।