লোহাগাড়ায় রাতের আঁধারে ঘর তুলে প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ৯৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে রাতের আঁধারে ঘর তুলে এক প্রবাসীর জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী প্রবাসী মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী সাবরিনা সোলতানা পুলিশি হেল্প লাইন ৯৯৯ এ কল দেন। এতেও কোন সুরাহা মিলে নি।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সাতগড়ের উত্তর পাড়ায় প্রবাসী মোহাম্মদ আরিফের বাউন্ডারী ওয়ালের গেইট ইটের গাঁথুনিতে বন্ধ রয়েছে। ভেতরে কংক্রিট, রড, সিমেন্ট ও পাকা দালান নির্মাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। চাষী জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা শর্ট পিলার।
প্রবাসীর স্ত্রী সাবরিনা অভিযোগ করেন, ঘরে আমার বৃদ্ধ শশুড়-শাশুড়ী ও দুই বছর বয়সী এক সন্তান ছাড়া কেউ নেই। আমার স্বামীর ক্রয়কৃত ও ওয়ারিসসূত্রে প্রাপ্ত জমি গেইটসহ বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়া ছিল। ৭/৮ দিন আগে রাত ১১ টায় ৩০/৩৫ জন লোকজন এসে গেইট ভেঙ্গে ইটের গাঁথুনি দিয়ে গেইট বন্ধ করে পরদিন সকালে চাষী জমির উপর পাকা পিলার নির্মান কাজ শুরু করে। আমার শশুড় ও আমি কারণ জানতে চাইলে আমাদের উপর হামলা করে আহত করে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে আমার শশুড় মোহাম্মদ নূরুচ্ছফা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মোহাম্মদ আরিফ ওই এলাকার মোহাম্মদ নূরুচ্ছফার পুত্র ও আরব-আমিরাত প্রবাসী।
মোহাম্মদ নূরুচ্ছফা বলেন, থানা থেকে এএসআই মাহবুবুর রহমান এসে কাজ বন্ধ করে দেন। কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। তারা থানায় হাজির না হয়ে প্রতিরাতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। ঘরে কেউ না থাকায় আমরা বাঁধাও দিতে পারছি না।
জানা যায়, থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করায় অভিযুক্ত ওই এলাকার মৃত আমির আলীর পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৪০) ও মোহাম্মদ রফিক (৪৫) এর বিরুদ্ধে আদালতে নন এফআইআর প্রসিকিউশন দাখিল করে পুলিশ। লোহাগাড়া থানার জিডি নং-৭৬, প্রসিকিউশন নং -৬৭/২৫।
এএসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করায় এবং রাতের আঁধারে কাজ করায় আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিয়েছি। এখন বিজ্ঞ আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ঘটনায় প্রবাসী আরিফের বোন হুমাইরা আক্তার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও তারা চলে যাওয়ার পর আবার দখল শুরু করে অভিযুক্তরা। নিরুপায় হয়ে আমার ভাবি সাবরিনা চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলা করেন। মামলা নং- ৯২২/২৫, স্মারক নং- ২৩৮১। আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারায় আদেশ দেন। আদালতের আদেশ পাওয়ার পরও বিবাদীগং রাতের আঁধারে ৩০/৩৫ জন লোক নিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোথায় গেলে আমরা সুবিচার পাবো। ঘরে কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় এমনটা হচ্ছে। আমার প্রবাসী ভাইয়ের সব কাগজপত্র ঠিক আছে। নিয়মিত জমির খাজনাও দিই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ রফিক বলেন, আমার জমিতে আমি ঘর তুলেছি। তবে রাতের আঁধারে ঘর তোলার কারণ বলতে পারেননি তিনি।
চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে বার বার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবির ক্যাপশান: লোহাগাড়ার চুনতিতে প্রবাসীর জায়গা রাতের আঁধারে দখল করে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ।
















