ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

শরিকদের ৪০ আসন ছাড়বে বিএনপি

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। ফলে, নির্বাচন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে তিনি কতটি আসনে অংশ নেবেন। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তিনি সবগুলো আসনে নির্বাচন নাও করতে পারেন। দলের নীতি নির্ধারকরা এমনই মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, সময়ই বলে দিবে। তখন কি করতে হবে।
জানা গেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে লড়তে প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে তিনটি মনোনয়ন নিচ্ছেন। সে আসনগুলো হচ্ছে, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার মধ্য থেকে ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ এবং বগুড়া-৭ আসন থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেবেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। যদিও দলের একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। ফলে, নির্বাচন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে তিনি কতটি আসনে অংশ নেবেন।
এদিকে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় দলের বেশ কয়েকজন পরিচিত নেতার নাম দেখা যায়নি। এর মধ্যে রয়েছেন দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে অংশ নেন। যদিও আজকের ঘোষিত তালিকায় এই আসনটি খালি রাখা হয়েছে।
এছাড়া, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামও তালিকায় দেখা যায়নি। অন্যদিকে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এর আগে কখনও নির্বাচনে অংশ না নিলেও এবারও সম্ভাব্য তালিকায় তার নাম নেই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। বাকি ৬৩টি আসনের মধ্যে ৪০টি আসন যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। আর ২৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে পরে। তবে, আসন নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে দলটির সমঝোতা হলে পাল্টে যেতে পারে হিসাব-নিকাশ। গতকাল সোমবার বিকেলে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয় জানা গেছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার আগে তিনটি জরিপের ফলাফলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত একমাস ধরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির তিনজন নেতা নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সারাদেশের ৩০০ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে পর্যালোচনা করে একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেন।
এরপর জরিপের ফলাফল এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে তৈরি করা খসড়া তালিকাকে সমন্বয় করে ২৬০টি আসনের একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা ধরে আজ সোমবার বেলা ১২টা থেকে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। বাকি ২৩টি আসনের প্রার্থী নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করে আজকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছি।
এবিষয়ে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এবার কোনো পরিবার থেকে দুজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবে না। আপনারা দেখেছেন, এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পরিবারের কোনো ছেলে-মেয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যেসব আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেই সব আসনে বিএনপির প্রার্থীও আসবে, আবার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের থেকেও আসবে। এগুলো পরে সমন্বয় করা হবে। স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা জানান, আজকের বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ২৬০টি আসনের একটি তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ২৩৭টি আসনের প্রার্থী নিয়ে ঐকমত্য হয়। বাকি আসনগুলো নিয়ে ঐকমত্য হয়নি।
এদিকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির আসন সমঝোতা হওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। চূড়ান্তভাবে সমঝোতা হলে গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত এই দলটিকেও বিএনপি একাধিক আসন ছাড় দেবে। একাধিক সূত্রে এমনটাই আভাস মিলেছে।
বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপি সঙ্গে এখনও আমাদের আসন ছাড় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে, আমরা তাদেরকে আসন নিয়ে একটি তালিকা জমা দিয়েছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, আজকের ঘোষণায় ৬৩ আসন খালি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি আসন যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে যদি এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আসন সমঝোতা হয়ে যায় তাহলে যুগপৎ সঙ্গীদের ছাড় দেওয়া আসনের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থী তালিকায়ও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে এনসিপির সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে। আমরা তো তাদের স্বাগত জানিয়েছি, সবসময় তাদের পছন্দ করি এবং সহযোগিতা করতে চাই। এখন তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, কিন্তু আমরা কখনো মাইন্ড করিনি। খেয়াল করে দেখবেন আমি এনসিপির বিরুদ্ধে কখনো কোনো কথা বলি না। আমি তাদের স্বীকার করি, পছন্দ করি, শ্রদ্ধা করি এবং চাই তারা ভালো করুক।
অপরদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৩ সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও এ তালিকা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, এটা প্রাথমিক তালিকা। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি মনে করলে যেকোনো সংশোধনী আসতে পারে। চূড়ান্ত না হওয়া আসনগুলো হলো ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শরিকদের ৪০ আসন ছাড়বে বিএনপি

আপডেট সময় :

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। ফলে, নির্বাচন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে তিনি কতটি আসনে অংশ নেবেন। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তিনি সবগুলো আসনে নির্বাচন নাও করতে পারেন। দলের নীতি নির্ধারকরা এমনই মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, সময়ই বলে দিবে। তখন কি করতে হবে।
জানা গেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে লড়তে প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে তিনটি মনোনয়ন নিচ্ছেন। সে আসনগুলো হচ্ছে, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার মধ্য থেকে ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ এবং বগুড়া-৭ আসন থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেবেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। যদিও দলের একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। ফলে, নির্বাচন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে তিনি কতটি আসনে অংশ নেবেন।
এদিকে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় দলের বেশ কয়েকজন পরিচিত নেতার নাম দেখা যায়নি। এর মধ্যে রয়েছেন দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে অংশ নেন। যদিও আজকের ঘোষিত তালিকায় এই আসনটি খালি রাখা হয়েছে।
এছাড়া, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামও তালিকায় দেখা যায়নি। অন্যদিকে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এর আগে কখনও নির্বাচনে অংশ না নিলেও এবারও সম্ভাব্য তালিকায় তার নাম নেই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। বাকি ৬৩টি আসনের মধ্যে ৪০টি আসন যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। আর ২৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে পরে। তবে, আসন নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে দলটির সমঝোতা হলে পাল্টে যেতে পারে হিসাব-নিকাশ। গতকাল সোমবার বিকেলে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয় জানা গেছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার আগে তিনটি জরিপের ফলাফলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত একমাস ধরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির তিনজন নেতা নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সারাদেশের ৩০০ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে পর্যালোচনা করে একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেন।
এরপর জরিপের ফলাফল এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে তৈরি করা খসড়া তালিকাকে সমন্বয় করে ২৬০টি আসনের একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা ধরে আজ সোমবার বেলা ১২টা থেকে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। বাকি ২৩টি আসনের প্রার্থী নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করে আজকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছি।
এবিষয়ে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এবার কোনো পরিবার থেকে দুজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবে না। আপনারা দেখেছেন, এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পরিবারের কোনো ছেলে-মেয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যেসব আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেই সব আসনে বিএনপির প্রার্থীও আসবে, আবার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের থেকেও আসবে। এগুলো পরে সমন্বয় করা হবে। স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা জানান, আজকের বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ২৬০টি আসনের একটি তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ২৩৭টি আসনের প্রার্থী নিয়ে ঐকমত্য হয়। বাকি আসনগুলো নিয়ে ঐকমত্য হয়নি।
এদিকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির আসন সমঝোতা হওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। চূড়ান্তভাবে সমঝোতা হলে গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত এই দলটিকেও বিএনপি একাধিক আসন ছাড় দেবে। একাধিক সূত্রে এমনটাই আভাস মিলেছে।
বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপি সঙ্গে এখনও আমাদের আসন ছাড় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে, আমরা তাদেরকে আসন নিয়ে একটি তালিকা জমা দিয়েছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, আজকের ঘোষণায় ৬৩ আসন খালি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি আসন যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে যদি এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আসন সমঝোতা হয়ে যায় তাহলে যুগপৎ সঙ্গীদের ছাড় দেওয়া আসনের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থী তালিকায়ও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে এনসিপির সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে। আমরা তো তাদের স্বাগত জানিয়েছি, সবসময় তাদের পছন্দ করি এবং সহযোগিতা করতে চাই। এখন তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, কিন্তু আমরা কখনো মাইন্ড করিনি। খেয়াল করে দেখবেন আমি এনসিপির বিরুদ্ধে কখনো কোনো কথা বলি না। আমি তাদের স্বীকার করি, পছন্দ করি, শ্রদ্ধা করি এবং চাই তারা ভালো করুক।
অপরদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৩ সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও এ তালিকা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, এটা প্রাথমিক তালিকা। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি মনে করলে যেকোনো সংশোধনী আসতে পারে। চূড়ান্ত না হওয়া আসনগুলো হলো ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।