স্টাফ রিপোর্টার
শরিয়তপুরে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর বসতভিটা আত্নসাতের চেস্টা!

- আপডেট সময় : ০৮:১৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম দেওয়ান
শরিয়তপুর জেলায় নড়িয়ায় জাল দলিলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর বসতভিটা দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে স্থানীয় ইসমাইল গং। জেলার নড়িয়া উপজেলার মানাখান গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম দেওয়ানের বসতভিটা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইসমাইল খান গংদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাসেম দেওয়ানের পরিবারটি দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বসতভিটায় বসবাস করে আসছে। ১৯৬৩ সাল থেকে এই বাড়িতে তাদের বসবাস। ১৯৯০ সালে একই এলাকার ইসমাইল খান, সাগর ও পারভেজ সেই বাড়ির মালিকানা দাবি করে। সেই সময় ভূমখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মকিমসহ ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা জমি পরিমাপ করে আলাদা সীমানা পিলার স্থাপন করে দেয়। সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে রয়েছে প্রতিবন্ধীর পরিবার। বর্তমানে সরকারি অনুদানের টাকায় নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে ইসমাইল খান একটি ভুয়া দলিল উপস্থাপন করে জমির মালিকানা দাবি করেন। ইতোমধ্যে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় এনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেমকে ২ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করে। সেই জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাধা দেয়াসহ ভুয়া দলিলের মাধ্যমে বসত ভিটা দখলের চেষ্টা করেন ইসমাইল খান ও তার সহযোগিরা। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদনে আবুল কাশেম আবুল কাশেম বলেন, আমার বাড়ি ৯৪ নং মানাখান মৌজার বিআরএস ৪৬৬ নং খতিয়ানের ৬০২, ৬০৪ ও ৬০৫ নং দাগে। ইসমাইল খান যে দলিলের ভিত্তিতে জমির মালিকানা দাবি করে তা ৫২ নং মগর মৌজার ৫৪১ নং খতিয়ানের বিআরএস ৩১২ দাগের। যা বর্তমানে পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়। সবকিছু জেনেও ইসমাইল খান আমাকে হয়রানি করে আসছে। আমি ও আমার পরিবার সবসময় আতঙ্কে থাকি। আইনি সহযোগিতা না পেলে পরিবার নিয়ে আমাকে পথে বসতে হবে।
শঙ্কিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম দেওয়ান বলেন, আমি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছি। আবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, পুলিশ সুপার ও র্যাবকে পাঠিয়েছি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, কাশেম দেওয়ান একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তিনি ভিক্ষা না করে লঞ্চে ফেরি করে খেলনা বিক্রি করেন। অনেক কষ্ট করে তিনি সংসার চালান। ইসমাইল খান একটি ভুয়া দলিল করে এখন কাশেমের উপর জুলুম করতেছে। কাশেমের আল্লাহ আছে। জুলুমকারী ও দখলচেষ্টাকারীর বিচার বিচার হওয়া দরকার ।
এ ব্যাপারে ইসমাইল খান বলেন, আমি স্ট্যাম্প ও দলিলের মাধ্যমে এই জমি ক্রয় করেছি। দলিল আদালতে ররেছে। আমি কারো জমি জোর করে খেতে চাই না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলে মনে করেন এলাকাবাসি ।