শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আজ ২৪ শে মার্চ সোমবার বিশ্ব যক্ষা দিবস। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ সুমন কুমার পোদ্দার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর। ডাঃ সাইমুম আলম আরমান।মেডিকেল অফিসার,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর। মোঃ ইছাহাক সরকার,স্বাস্থ্য পরিদশক ইনচার্জ,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।মোঃ ফজলুর রহমান,সাবেক স্বাস্থ্য পরিদশক ইনচার্জ,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এতে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে দিনে গড়ে ১ হাজার ৩৮ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে গড়ে ১৩ জনের যক্ষ্মা ওষুধ প্রতিরোধক। অন্যদিকে দিনে গড়ে ১১৫ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যাচ্ছেন। অথচ শুরুতেই এ রোগ ধরা পড়লে এবং ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ ভালো হয়। এ কারণে মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়।যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা আনুমানিক ৩ লাখ ৭৯ হাজার। গত বছর ৩ লাখ ১ হাজার ৫৬৪ রোগী শনাক্ত করেছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। সেই হিসাবে মোট অনুমানিক যক্ষ্মা রোগীর ২১ শতাংশ শনাক্তের বাইরে।যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর শনাক্ত রোগীর মধ্যে পুরুষ ৫৬ শতাংশ ও নারী ৪২ শতাংশ। দৈনিক যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮২৬ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন। অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় অনেক বেশি মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছে।
গ্লোবাল যক্ষ্মা প্রতিবেদন-২০২৩ অনুযায়ী, এ রোগে আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। দেশে ২০২২ সালে যক্ষ্মায় মারা গেছে ৪২ হাজার। যক্ষ্মা সাধারণত টিবি নামে পরিচিত একটি গুরুতর ফুসফুসের রোগ।যক্ষ্মা একটি প্রাচীন রোগ। এটি মারাত্মক রোগ হিসেবে পরিচিত সম্ভবত প্রস্তরযুগ থেকে। মিসরে তিন হাজার বছরের পুরনো মমির ফুসফুসে যক্ষ্মার ক্ষত পাওয়া গেছে। গ্রিক স্বর্ণযুগে যক্ষ্মা ‘Phthisis’ নামে পরিচিত ছিল। সাধারণভাবে একে ‘ক্ষয়রোগ’ বলা হতো। সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সিসকাস সিলভিয়াস নামে নেদারল্যান্ডসের লিডেনবাসী এক ব্যক্তি মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ফুসফুসে গোটা আকৃতির ক্ষত দেখতে পেয়ে এর নাম দেন টিউবারসেল। জোহান শনলেইন ১৮৩৯ সালে এই রোগের নাম দেন টিউবারকুলোসিস। যক্ষ্মার সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করা হলে রোগীর কাছ থেকে খুব বেশিদিন যক্ষ্মা ছড়ায় না এবং সঠিক চিকিৎসায় সাফল্য প্রায় শতভাগ, কিন্তু কখনো কখনো টিবি ভালো হয়ে আবার আক্রমণ করতে পারে কিংবা মৃত্যু ঘটাতে পারে।