ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

শায়েস্তাগঞ্জে এসে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, যাকাতের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে ১০ বছরের মধ্যে দেশে ভিক্ষুক থাকবে না।

ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হলো যাকাত। এটি ধনীদের কাছ থেকে গরিবের পাওনা। হাজার হাজার কোটি টাকার যাকাত দেওয়া হলেও তা সঠিকভাবে গরিবের কাছে পৌঁছায় না। যাকাত সঠিকভাবে বণ্টনের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা সম্ভব। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি সমাজ গঠনে ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং খতিবগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। এজন্য তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। ইমামদের দুটি উৎসব বোনাস প্রদানের জন্যও ধর্ম মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ড. খালিদ হোসেন জানান, ইমামদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যাতে ছোট ব্যবসা (যেমন: কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, খেতখামার, কবুতর পালন বা কোয়েল পাখি পালন) করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে বিনাসুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনি সামান্য পুঁজি নেবেন, আমরা সামান্য পুঁজি দেবো। ইমামতির পাশাপাশি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবেন, এতে লজ্জার কিছু নেই। ধর্ম উপদেষ্টা আরও জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন করে বাজারে সরবরাহ করা হবে। এর থেকে প্রাপ্ত লাভ ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টে জমা হবে। ড. খালিদ হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে এর নাম দেবো ‘ইমাম’। আমাদের সময় কম হলেও আমরা এই প্রকল্প শুরু করতে চাই।
গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে রেলওয়ে পার্কিংয়ে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীসহ দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শায়েস্তাগঞ্জে এসে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

আপডেট সময় : ১২:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, যাকাতের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে ১০ বছরের মধ্যে দেশে ভিক্ষুক থাকবে না।

ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হলো যাকাত। এটি ধনীদের কাছ থেকে গরিবের পাওনা। হাজার হাজার কোটি টাকার যাকাত দেওয়া হলেও তা সঠিকভাবে গরিবের কাছে পৌঁছায় না। যাকাত সঠিকভাবে বণ্টনের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা সম্ভব। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি সমাজ গঠনে ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং খতিবগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। এজন্য তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। ইমামদের দুটি উৎসব বোনাস প্রদানের জন্যও ধর্ম মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ড. খালিদ হোসেন জানান, ইমামদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যাতে ছোট ব্যবসা (যেমন: কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, খেতখামার, কবুতর পালন বা কোয়েল পাখি পালন) করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে বিনাসুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনি সামান্য পুঁজি নেবেন, আমরা সামান্য পুঁজি দেবো। ইমামতির পাশাপাশি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবেন, এতে লজ্জার কিছু নেই। ধর্ম উপদেষ্টা আরও জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন করে বাজারে সরবরাহ করা হবে। এর থেকে প্রাপ্ত লাভ ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টে জমা হবে। ড. খালিদ হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে এর নাম দেবো ‘ইমাম’। আমাদের সময় কম হলেও আমরা এই প্রকল্প শুরু করতে চাই।
গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে রেলওয়ে পার্কিংয়ে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীসহ দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ।