ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

শার্শায় নিখোঁজের ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৮৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের শার্শায় নিখোঁজের চার দিন পর স্টিলের বাক্সের মধ্যে এক ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার নাভারণ কাজীরবেড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ভ্যানচালকের নাম আব্দুল্লাহ (২৫)। তিনি পার্শ্ববর্তী গাতীপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ পেশায় একজন ভ্যানচালক। পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। ১০ অক্টোবর সকাল ১১ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় তিনি ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন তিনি বাড়ি ফেরেননি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধান না পেয়ে গত ১১ অক্টোবর নিহত আব্দুল্লাহর বাবা ইউনুস আলী শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর ডিবি পুলিশ ও শার্শা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে (মঙ্গলবার) সকালে উপজেলার নাভারণ কাজীরবেড় গ্রামের সুমন সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়ির ভিতরে স্টিলের বাক্সের মধ্যে থেকে আব্দুল্লাহর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ডিবি ও থানা পুলিশ। পরে মরদেহটি আব্দুল্লাহর বলে শনাক্ত করেন স্বজনেরা। তবে তাদের ধারনা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শার্শায় নিখোঁজের ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় :

যশোরের শার্শায় নিখোঁজের চার দিন পর স্টিলের বাক্সের মধ্যে এক ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার নাভারণ কাজীরবেড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ভ্যানচালকের নাম আব্দুল্লাহ (২৫)। তিনি পার্শ্ববর্তী গাতীপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ পেশায় একজন ভ্যানচালক। পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। ১০ অক্টোবর সকাল ১১ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় তিনি ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন তিনি বাড়ি ফেরেননি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধান না পেয়ে গত ১১ অক্টোবর নিহত আব্দুল্লাহর বাবা ইউনুস আলী শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর ডিবি পুলিশ ও শার্শা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে (মঙ্গলবার) সকালে উপজেলার নাভারণ কাজীরবেড় গ্রামের সুমন সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়ির ভিতরে স্টিলের বাক্সের মধ্যে থেকে আব্দুল্লাহর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ডিবি ও থানা পুলিশ। পরে মরদেহটি আব্দুল্লাহর বলে শনাক্ত করেন স্বজনেরা। তবে তাদের ধারনা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।