ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শাল্লায় স্কুলের মাঠে বালু-পাথর, তদন্তে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

প্রীতম দাস, শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ৪৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাল্লায় গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গত তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বালু, পাথর রেখে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রাখায় তদন্তে আসছেন সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। বুধবার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বেলা ১১টায় তদন্তের কার্যক্রম চলবে বলে এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অভিযোগকারী সিলেট জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশকেও চিঠিতে অবগত করেন সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠকে সড়কের বালু, পাথর রেখে খেলাধুলার অনুপযোগী করে ফেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে মাঠকে সংস্কার করে খেলাধুলা করার উপযোগী করে দেয়ার কথা থাকলেও, ঠিকাদার নানা তালবাহানা শুরু করে। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আরও দু’বছরের জন্য বালু, পাথর রাখতে চায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূনরায় মালামাল রাখার দায় দায়িত্ব নিতে চাননি। ফলে ডাকা হয় অভিভাবক বৈঠক। সেই বৈঠকেও অভিভাবকদের পক্ষে প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। পরে ৫লাখ টাকার বিনিময়ে মাঠ দিতে কেউ একজন প্রস্তাব করেন। তবে ঠিকাদারের লোকজন ২লাখ ৫০হাজার টাকা দিতে রাজি হন। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখায় শিক্ষার্থী গত ১আগস্ট নিজেরাই বালু, পাথর সরিয়ে ফেলে মাঠ থেকে। খেলার মাঠ তাদের দখলে নিয়ে নেয় তারা। পরে দিনব্যাপী শিক্ষার্থীরা মাঠে কাজ করে কিছুটা খেলাধুলা করার উপযোগী করে তুলে। কিন্তু ড্রামট্রাক চলাচলের কারণে অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারের লোকজন এখন পর্যন্ত মাঠ সংস্কারের কোনও উদ্যোগই নেয়নি। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সিলেট জজকোর্টের আইনজীবী সুব্রত দাশ। এর পূর্বেও তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আসছেন তদন্তে।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশ বলেন আমাকেও উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমি ১৩আগস্ট উপস্থিত থাকব। তিনি আরও বলেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার দায়িত্ব শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিও মনযোগী হতে হবে। অন্যদিকে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। এবিষয়ে ১১আগস্ট গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি। ঠিকাদার যদি মাঠ সংস্কার না করে দেন, তাহলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শাল্লায় স্কুলের মাঠে বালু-পাথর, তদন্তে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

আপডেট সময় :

শাল্লায় গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গত তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বালু, পাথর রেখে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রাখায় তদন্তে আসছেন সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। বুধবার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বেলা ১১টায় তদন্তের কার্যক্রম চলবে বলে এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অভিযোগকারী সিলেট জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশকেও চিঠিতে অবগত করেন সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠকে সড়কের বালু, পাথর রেখে খেলাধুলার অনুপযোগী করে ফেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে মাঠকে সংস্কার করে খেলাধুলা করার উপযোগী করে দেয়ার কথা থাকলেও, ঠিকাদার নানা তালবাহানা শুরু করে। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আরও দু’বছরের জন্য বালু, পাথর রাখতে চায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূনরায় মালামাল রাখার দায় দায়িত্ব নিতে চাননি। ফলে ডাকা হয় অভিভাবক বৈঠক। সেই বৈঠকেও অভিভাবকদের পক্ষে প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। পরে ৫লাখ টাকার বিনিময়ে মাঠ দিতে কেউ একজন প্রস্তাব করেন। তবে ঠিকাদারের লোকজন ২লাখ ৫০হাজার টাকা দিতে রাজি হন। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখায় শিক্ষার্থী গত ১আগস্ট নিজেরাই বালু, পাথর সরিয়ে ফেলে মাঠ থেকে। খেলার মাঠ তাদের দখলে নিয়ে নেয় তারা। পরে দিনব্যাপী শিক্ষার্থীরা মাঠে কাজ করে কিছুটা খেলাধুলা করার উপযোগী করে তুলে। কিন্তু ড্রামট্রাক চলাচলের কারণে অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারের লোকজন এখন পর্যন্ত মাঠ সংস্কারের কোনও উদ্যোগই নেয়নি। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সিলেট জজকোর্টের আইনজীবী সুব্রত দাশ। এর পূর্বেও তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আসছেন তদন্তে।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশ বলেন আমাকেও উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমি ১৩আগস্ট উপস্থিত থাকব। তিনি আরও বলেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার দায়িত্ব শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিও মনযোগী হতে হবে। অন্যদিকে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। এবিষয়ে ১১আগস্ট গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি। ঠিকাদার যদি মাঠ সংস্কার না করে দেন, তাহলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন বলে জানান তিনি।