শিক্ষকদের স্বপ্ন প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে কেশবপুরে মতবিনিময় সভা
- আপডেট সময় : ৪১ বার পড়া হয়েছে
যশোর-৬ কেশবপুর আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যেন নতুন উত্তেজনার ঢেউ উঠেছে। সেই উত্তেজনারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল কেশবপুর পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে যেখানে আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী সমবেত হয়েছিলেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকধারী প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঙ্গে মতবিনিময় করতে।অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করলেই প্রথম নজরে আসে রঙিন ফুলে সাজানো দীর্ঘ মঞ্চ। সারি সারি চেয়ারভর্তি অতিথিদের উপস্থিতি আর প্রেক্ষাপটে টানানো বিশাল ব্যানার পুরো পরিবেশকে নির্বাচনী আবহে রাঙিয়ে তুলেছিল। ব্যানারে শোভা পাচ্ছিলো ধানের শীষ প্রতীক, শিক্ষকদের সঙ্গে সংলাপের অঙ্গীকার এবং আগামী দিনের প্রত্যাশার বার্তা। ছবিতে থাকা সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল মূল মঞ্চের দিকে যেখানে সাজানো ফুলের তোড়ার মাঝেই তৈরি হয়েছিল এক আত্মবিশ্বাসী সমাবেশ। শিক্ষকদের চোখে শ্রাবণ এক আস্থার নাম,শিক্ষকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিলেন তরুণ প্রজন্মের আইকন, মেহনতি মানুষের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের দাবি আদায়ে মাঠে থাকার কারণে তিনি শিক্ষক সমাজের কাছে একটি পরিচিত ও প্রিয় নাম। উপস্থিত শিক্ষকরা জানান, তাঁর কথা, আচরণ আর কাজ তাঁদের মনে নতুন আস্থা জাগিয়েছে। সভায় শ্রাবণ বলেন, “শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা, তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন আমার প্রথম অঙ্গীকার। শিক্ষকরা জাতির আলোকবর্তিকা তাদের সম্মানই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।
অতিথিদের বক্তব্যে প্রতিফলিত হলো পরিবর্তনের প্রত্যাশা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস ছামাদ বিশ্বাস, সাবেক পৌর কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন আলা , বিএনপি নেতা ফারুকে আজম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির সুমন, সহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি শ্রাবণের অঙ্গীকার, জনসংযোগে তাঁর আন্তরিকতা এবং কেশবপুরের সমস্যা সমাধানে তাঁর বাস্তবমুখী দৃষ্টিভঙ্গির কথা।অতিথিরা বলেন, কেশবপুরের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম এবং দূরদৃষ্টি নিয়ে এগোতে পারেন এমন প্রার্থী প্রয়োজন শ্রাবণ সেই উপযুক্ত নেতৃত্ব।
সভায় ছিলো প্রাণের স্পন্দন অডিটোরিয়ামের ভিতর পুরো সময় জুড়ে ছিল আলাপ আলোচনা, প্রশ্ন উত্তরের প্রাণবন্ত সঞ্চার। মঞ্চের সামনে বসে থাকা শিক্ষক কর্মচারীরা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন অতিথিদের বক্তব্য। কেউ আবার মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউ নোট নিচ্ছেন, আবার কেউ পাশের সহকর্মীর সঙ্গে নীরব আলোচনায় মশগুল। পুরো পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। ছবিতে দেখা যায়, রঙিন ফুলের সারির ওপরে সুসজ্জিত মঞ্চ যেখানে ফরমাল পোশাকে অতিথিরা বসে আছেন মনোযোগী ভঙ্গিতে। কারও হাত ভাঁজ করা, কারও দৃষ্টি নিবদ্ধ পেছনের ব্যানারের দিকে, আবার কেউ নীরবে বক্তব্য শোনায় মগ্ন। দৃশ্যটি পুরো সভার মূল বার্তা ঐক্য, অংশগ্রহণ ও প্রত্যাশাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আবু হাসান, আহ্বায়ক সম্মিলিত শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট। তাঁর সুচিন্তিত সঞ্চালনায় পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল সুসংগঠিত, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমুখর।
মতবিনিময় সভাটি ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিক আলোচনা নয় এটি ছিল শিক্ষকদের অনুভব, প্রত্যাশা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি। শ্রাবণ শিক্ষকদের সামনে উপস্থিত হয়ে যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ভবিষ্যৎ কেশবপুরের সম্ভাবনা।


















