ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুরের ব্রাহ্মনডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৬ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব-এর বিরুদ্ধে উঠেছে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষাবিষয়ক ফি ও ভর্তি কার্যক্রমের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ এনে লিখিতভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, শিক্ষক মি. হাবিব বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষার ফি উত্তোলন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রাথমিকভাবে ২২ টি রশিদে মিলিয়ে দেখা যায় টাকা বেশি উত্তোলন করেন, কিন্তু সেই অর্থ বিদ্যালয়ের হিসাব নথিভুক্ত করেননি। ভর্তি সময় টাকা নিলেও রশিদ দেয়নি এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করতেন প্রাইভেট পড়ানো সহ নানান অভিযোগ।
সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে, মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান (মিলু) জানান, অভিযোগটি লিখিত আকারে পাওয়া গেছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার ইরা গোস্বামী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঐ শিক্ষককে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আজ চারদিন চলে।
স্থানীয় অভিভাবক কালাম মোল্লা, দন্ত চিকিৎসক টুলু মুন্সী, সানোয়ার হোসেন ও এলাকাবাসীর দাবি, শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে সুশিক্ষা ও শৃঙ্খলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফরিদপুরের ব্রাহ্মনডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় :

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব-এর বিরুদ্ধে উঠেছে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষাবিষয়ক ফি ও ভর্তি কার্যক্রমের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ এনে লিখিতভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, শিক্ষক মি. হাবিব বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষার ফি উত্তোলন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রাথমিকভাবে ২২ টি রশিদে মিলিয়ে দেখা যায় টাকা বেশি উত্তোলন করেন, কিন্তু সেই অর্থ বিদ্যালয়ের হিসাব নথিভুক্ত করেননি। ভর্তি সময় টাকা নিলেও রশিদ দেয়নি এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করতেন প্রাইভেট পড়ানো সহ নানান অভিযোগ।
সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে, মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান (মিলু) জানান, অভিযোগটি লিখিত আকারে পাওয়া গেছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার ইরা গোস্বামী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঐ শিক্ষককে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আজ চারদিন চলে।
স্থানীয় অভিভাবক কালাম মোল্লা, দন্ত চিকিৎসক টুলু মুন্সী, সানোয়ার হোসেন ও এলাকাবাসীর দাবি, শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে সুশিক্ষা ও শৃঙ্খলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।