শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না
- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করা যাচ্ছে না।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা দুদিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এখনই বিবেচনা করা যাচ্ছে না। আর ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করাটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদের তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
মন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমাদের তো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলমান। এখন প্রথম যে অগ্রাধিকার হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পুনরায় কিভাবে শুরু করা যায়, সেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে। কোন প্রক্রিয়ায়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলা হচ্ছে, নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো আগে নিশ্চিত হতে হবে। তাড়াহুড়ো করে খুলে দিয়ে আবারও অরাজকতা করাটা চাচ্ছি না।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এখানে একটা অশুভ প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেগুলো বিবেচনা করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা এরইমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের বিষয়ে আমরা বসেছি।
প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, ঢাকা এবং তৎসংলগ্ন ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলোর একটা পরিস্থিতি, অন্য জেলা যেগুলোর আরেকরকম পরিস্থিতি। সেটা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যেহেতু পরীক্ষা সারাদেশে একসঙ্গে হয়। সেজন্য পরীক্ষার বিষয়টা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে এই মুহূর্তে।
সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকরা কারফিউ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত পাবো সেটা পর্যালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটা অনুরোধ করবো। আলটিমেটাম দেওয়ার পর যখন হত্যাযজ্ঞ হয়, নরহত্যা হয়, গলাকেটে দেওয়ার মতো কাজ হয়, রগ কেটে দেওয়ার মতো কাজ হয়, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়ার মতো কাজ হয়। তখন আলটিমেটাম যারা দিচ্ছেন তাদের কাছে তো সবার প্রশ্ন থাকবে, আসলে এসব আলটিমেটামের উদ্দেশ্য কি এটি।