ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধুনিক কেবিন ব্লক ও দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা Logo গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক Logo কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির আস্থা লুৎফুর রহমান কাজল Logo উখিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুর সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত Logo কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ Logo যশোরে তরিকুল ইসলাম স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল Logo সাদুল্লাপুরে হলুদক্ষেতে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

শিবগঞ্জে খুনের মিমাংসীত বিষয়ে জরিমানার টাকা দিতে টালবাহানা সাইদুর রহমানের

শাহীন আকতার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুনের মিমাংসীত বিষয়ে জরিমানার টাকা দিতে টালবাহানা সাইদুর রহমানের, চককীত্তি ইউনিয়ন লহলামারী সাহেবগ্রাম অন্য আর দশ গ্রামের মত সাধারণ গ্রাম ছিল, কিন্তু দশ বছর আগে হঠাৎ একদিন সেনা সদস্য সাইদুর রহমান ও তার চাচা প্রফেসর আব্দুল খালেক মধ্যে জমি নিয়ে বিরধের সৃষ্টি হয়, সেই বিরধে, গ্রামের অনেক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে, বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে, পক্ষে নিয়ে একটি কমিটি গঠিত করেন। ২৩/১০/২০১৫ শুরু হয় জমি নিয়ে মারামারি , সেই মারি মারিতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। এর ৬/৭ মাস পর ২০১৬ সালের জুন মাসে আব্দুল খালেক সমর্থক দের হাতে খুন হন, শফিকুল ইসলাম। এরপর একের দুই গ্রুপের হামলায়, বেশ কয়েকজন আহত হন। সাল ২০২০, সাবেক সেনা সদস্য সাইদুর রহমান নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ইয়াসিন আলী ফিটুকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং ইয়াসিন আলী ফিটু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে ২৮ দিন পর মারা যায়। ফিটু মারা যাওয়ার পর আত্মগোপন করে সাইদুর রহমান সহ তার সমর্থকরা। সাল ২০২১ হাইকোর্টে জামিনের পর গ্রামে আসেন সাইদুর রহমান সমর্থকরা, সেই সময় আব্দুল খালেক সমর্থকদের হামলায় নিহত হন, সোহরাব হোসেন। সোহরাব মারা যাওয়ার পর, উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম্য সালিশে কয়েকবার বসা হলেও বিষয় গুলো নিস্পত্তি হয়নি । এদিকে সাইদুর রহমান সমর্থকদের দাবি, আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ , আমরা চাই, সকল প্রকার ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে, কিন্তু সাইদুর রহমান আমাদের, সাথে প্রতারণা করে, কোন বিচার সালিশ মানছেন না, আমরা বিষয় গুলো নিস্পত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করলে, উল্টো আমাদের নামে, মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। লহলামারী সাহেবগ্রামের আবু সায়েম পিকুল বলেন, আমাদের, গ্রামের বড় একটি ঝামেলা থেকে আমরা নিস্পত্তি চেয়ে, চককীত্তি ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করি, ২০২৩ সালে, ইউনিয়ন পরিষদ মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাইদুর রহমানকে সাত লক্ষ টাকা ও আব্দুল খালেক প্রফেসর সহ আরও দুই জনকে চৌদ্দ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়, কিন্তু সাইদুর রহমান সে রায় না মেনে, আমাদের সকলের বাগান বিক্রি করে টাকা নিয়ে, চলে যান। তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি আমাদের উপর ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা করেন। গ্রামের সাধারণ মানুষরা বলছেন, একাধিক বার স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করা হলেও সাইদুর রহমান তা মেনে নিতে চাইনি, উল্টো তাদের সকলের সরকারি বাগান বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে গেছেন তিনি। তার এই অবহেলার কারণে, অনেক পরিবার অন্ধকারে ডুবে যাবে, আমরা সাইদুর রহমানকে অনুরোধ জানাচ্ছি, যেন ঝামেলা থেকে সকলকে মুক্তি দিয়ে, গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
এ বিষয়ে বিবাদী সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কোর্টের উকিলের মাধ্যমে মিমাংসায় বসতে রাজি আছি কিন্তু আমি আমার এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে লহালামাড়িতে বসতে রাজি নই, এবং আমার ভাইদের সাথে যেকোনো সময় বসতে রাজি আছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিবগঞ্জে খুনের মিমাংসীত বিষয়ে জরিমানার টাকা দিতে টালবাহানা সাইদুর রহমানের

আপডেট সময় :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুনের মিমাংসীত বিষয়ে জরিমানার টাকা দিতে টালবাহানা সাইদুর রহমানের, চককীত্তি ইউনিয়ন লহলামারী সাহেবগ্রাম অন্য আর দশ গ্রামের মত সাধারণ গ্রাম ছিল, কিন্তু দশ বছর আগে হঠাৎ একদিন সেনা সদস্য সাইদুর রহমান ও তার চাচা প্রফেসর আব্দুল খালেক মধ্যে জমি নিয়ে বিরধের সৃষ্টি হয়, সেই বিরধে, গ্রামের অনেক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে, বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে, পক্ষে নিয়ে একটি কমিটি গঠিত করেন। ২৩/১০/২০১৫ শুরু হয় জমি নিয়ে মারামারি , সেই মারি মারিতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। এর ৬/৭ মাস পর ২০১৬ সালের জুন মাসে আব্দুল খালেক সমর্থক দের হাতে খুন হন, শফিকুল ইসলাম। এরপর একের দুই গ্রুপের হামলায়, বেশ কয়েকজন আহত হন। সাল ২০২০, সাবেক সেনা সদস্য সাইদুর রহমান নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ইয়াসিন আলী ফিটুকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং ইয়াসিন আলী ফিটু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে ২৮ দিন পর মারা যায়। ফিটু মারা যাওয়ার পর আত্মগোপন করে সাইদুর রহমান সহ তার সমর্থকরা। সাল ২০২১ হাইকোর্টে জামিনের পর গ্রামে আসেন সাইদুর রহমান সমর্থকরা, সেই সময় আব্দুল খালেক সমর্থকদের হামলায় নিহত হন, সোহরাব হোসেন। সোহরাব মারা যাওয়ার পর, উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম্য সালিশে কয়েকবার বসা হলেও বিষয় গুলো নিস্পত্তি হয়নি । এদিকে সাইদুর রহমান সমর্থকদের দাবি, আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ , আমরা চাই, সকল প্রকার ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে, কিন্তু সাইদুর রহমান আমাদের, সাথে প্রতারণা করে, কোন বিচার সালিশ মানছেন না, আমরা বিষয় গুলো নিস্পত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করলে, উল্টো আমাদের নামে, মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। লহলামারী সাহেবগ্রামের আবু সায়েম পিকুল বলেন, আমাদের, গ্রামের বড় একটি ঝামেলা থেকে আমরা নিস্পত্তি চেয়ে, চককীত্তি ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করি, ২০২৩ সালে, ইউনিয়ন পরিষদ মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাইদুর রহমানকে সাত লক্ষ টাকা ও আব্দুল খালেক প্রফেসর সহ আরও দুই জনকে চৌদ্দ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়, কিন্তু সাইদুর রহমান সে রায় না মেনে, আমাদের সকলের বাগান বিক্রি করে টাকা নিয়ে, চলে যান। তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি আমাদের উপর ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা করেন। গ্রামের সাধারণ মানুষরা বলছেন, একাধিক বার স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করা হলেও সাইদুর রহমান তা মেনে নিতে চাইনি, উল্টো তাদের সকলের সরকারি বাগান বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে গেছেন তিনি। তার এই অবহেলার কারণে, অনেক পরিবার অন্ধকারে ডুবে যাবে, আমরা সাইদুর রহমানকে অনুরোধ জানাচ্ছি, যেন ঝামেলা থেকে সকলকে মুক্তি দিয়ে, গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
এ বিষয়ে বিবাদী সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কোর্টের উকিলের মাধ্যমে মিমাংসায় বসতে রাজি আছি কিন্তু আমি আমার এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে লহালামাড়িতে বসতে রাজি নই, এবং আমার ভাইদের সাথে যেকোনো সময় বসতে রাজি আছি।