ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

শীতের ‘হাতছানি’ ব্যস্ততা জয়পুরহাটের লেপ তোষক পল্লীতে

এম.এ.জলিল রানা, জয়পুরহাট
  • আপডেট সময় : ৩৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শীতের ‘হাতছানি’ ব্যস্ততায় সময় পার করছে জয়পুরহাটের লেপ তোষক পল্লীর কারিগররা । যদিও এখনো দিনের বেলা অনেকটা গরম হলেও রাতের শেষান্তে শীতের শীতল পরশ যেন আলতোভাবে ছুঁয়ে যেতে শুরু করেছে। আর তাইতো শীতের আগমনী পদধ্বনির সাথে সাথে জয়পুরহাট জেলার লেপ, তোষক, বালিশ ও জাজিম তৈরির কারিগররা ইতোমধ্যেই অনেকটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দিনে হালকা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা অনুভূতি বাড়তে থাকায় প্রতিটি পরিবারে এসব শীত নিবারণ সামগ্রীর চাহিদা ও চিন্তায় বেড়ে গেছে ক্রেতাদের দৌড়-ঝাঁপ। ফলে এই সময়ে কারিগররা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন সামগ্রী তৈরি এবং পুরনো জিনিস মেরামত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করছেন।
চাহিদা বৃদ্ধি: শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে লেপ, তোষক, বালিশ ও জাজিমের চাহিদা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকবে।
কারিগরদের ব্যস্ততা: ইতোমধ্যেই জেলার কারিগররা এখন দিনে ও রাতে সমানভাবে কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত।
কাজের প্রকারভেদ: তারা শুধু নতুন সামগ্রীই তৈরি করছেন এমনটি নয়, বরং পুরনো লেপ-তোষক ও মেরামত করছেন।
উপকরণ: ক্রেতারা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা বেছে নিচ্ছেন।
শীতের পদধ্বনিতে কম প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা ভাব পাড়ছে। এভাবেই আসি আসি করছে শীত। এতেই এ জেলায় লেপ তোষক বানানোর কারিগররা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ-তোষক তৈরিতে।
উত্তরাঞ্চলের সীমান্তের কোলঘেষা ছোট্ট জেলা জয়পুরহাট। ছোট্ট জেলা হলেও শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব অনেকটাই বেশী থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মূলত লেপ-তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর-অক্টোবর থেকেই। জয়পুরহাট শহরের রেলপট্টিতে গড়ে ওঠা লেপ-তোষক বানানোর পল্লীতে ২২/২৩ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন । এতে প্রকার ভেদে প্রতিটি লেপ সেলাই মজুরী ২৫০ থেকে ৪০০-ও তোষক সেলাই মজুরী হিসেবে তারা ৫০০থেকে ৬০০ টাকা। তোষক বানানোর কারিগর রবিউল ইসলাম,রমযান আলী, আলম হোসন, হায়দার আলী, মনু মিয়, মুরাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন জানান,সাইজ অনুযায়ী ও প্রকার ভেদে এবার লেপ তোষক বানাতে খরচ পড়ছে এক হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। মজুরি, তুলাসহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষকের দাম গড়ে প্রায় ৫-৭শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং ষ্টোরের মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে প্রকারভেদে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক ৭০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ডবল তোষক সাইজ অনুযায়ী ১ হাজার ৯শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৪শ টাকা কেজি,এবার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ৮০/৯০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার প্রকারভেদে ৯০-১০০শ এবং ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোষক বিক্রেতা রমযান আলী। এছাড়া অন্যান্য তুলাও প্রতি কেজিতে দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শীতের ‘হাতছানি’ ব্যস্ততা জয়পুরহাটের লেপ তোষক পল্লীতে

আপডেট সময় :

শীতের ‘হাতছানি’ ব্যস্ততায় সময় পার করছে জয়পুরহাটের লেপ তোষক পল্লীর কারিগররা । যদিও এখনো দিনের বেলা অনেকটা গরম হলেও রাতের শেষান্তে শীতের শীতল পরশ যেন আলতোভাবে ছুঁয়ে যেতে শুরু করেছে। আর তাইতো শীতের আগমনী পদধ্বনির সাথে সাথে জয়পুরহাট জেলার লেপ, তোষক, বালিশ ও জাজিম তৈরির কারিগররা ইতোমধ্যেই অনেকটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দিনে হালকা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা অনুভূতি বাড়তে থাকায় প্রতিটি পরিবারে এসব শীত নিবারণ সামগ্রীর চাহিদা ও চিন্তায় বেড়ে গেছে ক্রেতাদের দৌড়-ঝাঁপ। ফলে এই সময়ে কারিগররা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন সামগ্রী তৈরি এবং পুরনো জিনিস মেরামত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করছেন।
চাহিদা বৃদ্ধি: শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে লেপ, তোষক, বালিশ ও জাজিমের চাহিদা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকবে।
কারিগরদের ব্যস্ততা: ইতোমধ্যেই জেলার কারিগররা এখন দিনে ও রাতে সমানভাবে কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত।
কাজের প্রকারভেদ: তারা শুধু নতুন সামগ্রীই তৈরি করছেন এমনটি নয়, বরং পুরনো লেপ-তোষক ও মেরামত করছেন।
উপকরণ: ক্রেতারা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা বেছে নিচ্ছেন।
শীতের পদধ্বনিতে কম প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা ভাব পাড়ছে। এভাবেই আসি আসি করছে শীত। এতেই এ জেলায় লেপ তোষক বানানোর কারিগররা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ-তোষক তৈরিতে।
উত্তরাঞ্চলের সীমান্তের কোলঘেষা ছোট্ট জেলা জয়পুরহাট। ছোট্ট জেলা হলেও শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব অনেকটাই বেশী থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মূলত লেপ-তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর-অক্টোবর থেকেই। জয়পুরহাট শহরের রেলপট্টিতে গড়ে ওঠা লেপ-তোষক বানানোর পল্লীতে ২২/২৩ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন । এতে প্রকার ভেদে প্রতিটি লেপ সেলাই মজুরী ২৫০ থেকে ৪০০-ও তোষক সেলাই মজুরী হিসেবে তারা ৫০০থেকে ৬০০ টাকা। তোষক বানানোর কারিগর রবিউল ইসলাম,রমযান আলী, আলম হোসন, হায়দার আলী, মনু মিয়, মুরাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন জানান,সাইজ অনুযায়ী ও প্রকার ভেদে এবার লেপ তোষক বানাতে খরচ পড়ছে এক হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। মজুরি, তুলাসহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষকের দাম গড়ে প্রায় ৫-৭শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং ষ্টোরের মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে প্রকারভেদে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক ৭০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ডবল তোষক সাইজ অনুযায়ী ১ হাজার ৯শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৪শ টাকা কেজি,এবার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ৮০/৯০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার প্রকারভেদে ৯০-১০০শ এবং ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোষক বিক্রেতা রমযান আলী। এছাড়া অন্যান্য তুলাও প্রতি কেজিতে দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।