ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না: তথ্য উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১০২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না

 

আওয়ামী লীগের দলীয় দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না।

৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না। এসব বাদ দেওয়া হবে। তবে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত দিবস আসবে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে নষ্ট করে ফেলেছে। শেখ মুজিবুর রহমানকেও তো আওয়ামী লীগই নষ্ট করেছে। যেভাবে তার মূর্তি করে পূজা বাংলাদেশে শুরু করেছে, এটা একটা ফ্যাসিস্ট আইডিওলজির অংশ হয়ে গেছে। একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার, যে নতুন বাংলাদেশ, সেখানে তো আমরা এই ফ্যাসিস্ট প্রবণতাগুলো রাখতে পারি না।

নাহিদ বলেন, আমরা তো ৭ মার্চ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না। যেটা আওয়ামী লীগ করেছিল, সেটা নির্মোহভাবে ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। দিবস হিসেবে পালনের চর্চা, এটার একটা রাজনীতি আছে। গণঅভ্যুত্থানের সরকারে সেই রাজনীতিটা চলতে দিতে পারে না। এটা ধারাবাহিকভাবে নতুন বাংলাদেশে থাকবে না।

শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না, উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এই ভূখন্ডে অনেকের ভূমিকা আছে, অনেকেই লড়াই করেছেন।

১৯৪৭, ‘৫২, ৭১-এ অনেকের অবদান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন জাতির পিতা না, অনেক ফাউন্ডিং ফাদার্স রয়েছে।

৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা শুধু ফ্যাসিস্ট পন্থায় আওয়ামী লীগের চাপিয়ে দেওয়া জাতীয় দিবসগুলো বাদ দিচ্ছি।

জাতীয় দিবসের তালিকায় নতুন দিবস যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে এমন আটটি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়। উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে এই তথ্য পোস্ট করা হয়।

দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে

১. ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

২. ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস

৩. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী

৪. ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী

৫. ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস

৬. ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস

৭. ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস

৮. ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১০:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

 

৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না

 

আওয়ামী লীগের দলীয় দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না।

৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না। এসব বাদ দেওয়া হবে। তবে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত দিবস আসবে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে নষ্ট করে ফেলেছে। শেখ মুজিবুর রহমানকেও তো আওয়ামী লীগই নষ্ট করেছে। যেভাবে তার মূর্তি করে পূজা বাংলাদেশে শুরু করেছে, এটা একটা ফ্যাসিস্ট আইডিওলজির অংশ হয়ে গেছে। একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার, যে নতুন বাংলাদেশ, সেখানে তো আমরা এই ফ্যাসিস্ট প্রবণতাগুলো রাখতে পারি না।

নাহিদ বলেন, আমরা তো ৭ মার্চ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না। যেটা আওয়ামী লীগ করেছিল, সেটা নির্মোহভাবে ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। দিবস হিসেবে পালনের চর্চা, এটার একটা রাজনীতি আছে। গণঅভ্যুত্থানের সরকারে সেই রাজনীতিটা চলতে দিতে পারে না। এটা ধারাবাহিকভাবে নতুন বাংলাদেশে থাকবে না।

শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না, উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এই ভূখন্ডে অনেকের ভূমিকা আছে, অনেকেই লড়াই করেছেন।

১৯৪৭, ‘৫২, ৭১-এ অনেকের অবদান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন জাতির পিতা না, অনেক ফাউন্ডিং ফাদার্স রয়েছে।

৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা শুধু ফ্যাসিস্ট পন্থায় আওয়ামী লীগের চাপিয়ে দেওয়া জাতীয় দিবসগুলো বাদ দিচ্ছি।

জাতীয় দিবসের তালিকায় নতুন দিবস যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে এমন আটটি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়। উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে এই তথ্য পোস্ট করা হয়।

দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে

১. ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

২. ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস

৩. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী

৪. ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী

৫. ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস

৬. ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস

৭. ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস

৮. ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।