ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বারনী স্নান

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:২০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ৭৫১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেড়শ’ বছর ধরে চলে আসছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী বারুনী স্নান ও মেলা। দূরদুরান্ত থেকে দলে দলে ভক্তরা কালীদহ সাগরের তীরে জড়ো হয়ে পুণ্যস্নানে অংশ নেন।

প্রতি বছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী বৈদিকমন্ত্র উচ্চারণসহ কালিদহ সাগরে পূণ্য স্নানে অংশ নেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উপজেলায় কালিদহ সাগরে বারনী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এক সময়ের প্রবল প্রতাপশালী কোচ রাজা দলীপ সামন্ত শাসিত শেরপুর রাজ্যের সুরক্ষিত রাজধানী দুর্গ সংলগ্ন, মনসামঙ্গল কাব্যধারার কিংবদন্তি চরিত্র প্রাচীন ভারতের ক্ষমতাশালী বণিক চাঁদ সওদাগর ও বেহুলা-লক্ষিন্দরের স্মৃতি বিজড়িত এই কালিদহ সাগর।

প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে বহুসংখ্যক স্নানার্থীর সমাগম ঘটে এখানে। স্নানার্থীগন তাদের বিশ্বাস মতে এই স্নানের মাধ্যমে পাপ মোচন ও মনের সকল সংকীর্ণতা দূর করার জন্য স্নান করেন।

স্নান শেষে শত শত ভক্তবৃন্ধ সাগরপাড়ে অনুষ্ঠিত গঙ্গাপূজা ও সংকীর্ত্তনে অংশ নেয়।এ সময় ভক্তগণ তাদের পূর্ব পুরুষের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।

যানা যায় ১২৫৭ খ্রিস্টাব্দে শেরপুর রাজ্যের (সেকালের দশকাহনীয়া) কুচ রাজা দলীপ সামন্ত এই কালিদহ সাগর পাড়ে তার রাজধানী স্থাপন করেন।

শেরপুর জেলাসহ জামালপুর জেলার ইসলামপুর, বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা,কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর ও হালুয়াঘাট উপজেলা সহ নেত্রকোনা জেলার একটি বড় অংশ এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পার্বত্য এলাকার কিয়দাংশ জুড়ে ছিল সেই রাজ্যের বিস্তৃতি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বারনী স্নান

আপডেট সময় : ১১:২০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

 

দেড়শ’ বছর ধরে চলে আসছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী বারুনী স্নান ও মেলা। দূরদুরান্ত থেকে দলে দলে ভক্তরা কালীদহ সাগরের তীরে জড়ো হয়ে পুণ্যস্নানে অংশ নেন।

প্রতি বছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী বৈদিকমন্ত্র উচ্চারণসহ কালিদহ সাগরে পূণ্য স্নানে অংশ নেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উপজেলায় কালিদহ সাগরে বারনী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এক সময়ের প্রবল প্রতাপশালী কোচ রাজা দলীপ সামন্ত শাসিত শেরপুর রাজ্যের সুরক্ষিত রাজধানী দুর্গ সংলগ্ন, মনসামঙ্গল কাব্যধারার কিংবদন্তি চরিত্র প্রাচীন ভারতের ক্ষমতাশালী বণিক চাঁদ সওদাগর ও বেহুলা-লক্ষিন্দরের স্মৃতি বিজড়িত এই কালিদহ সাগর।

প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে বহুসংখ্যক স্নানার্থীর সমাগম ঘটে এখানে। স্নানার্থীগন তাদের বিশ্বাস মতে এই স্নানের মাধ্যমে পাপ মোচন ও মনের সকল সংকীর্ণতা দূর করার জন্য স্নান করেন।

স্নান শেষে শত শত ভক্তবৃন্ধ সাগরপাড়ে অনুষ্ঠিত গঙ্গাপূজা ও সংকীর্ত্তনে অংশ নেয়।এ সময় ভক্তগণ তাদের পূর্ব পুরুষের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।

যানা যায় ১২৫৭ খ্রিস্টাব্দে শেরপুর রাজ্যের (সেকালের দশকাহনীয়া) কুচ রাজা দলীপ সামন্ত এই কালিদহ সাগর পাড়ে তার রাজধানী স্থাপন করেন।

শেরপুর জেলাসহ জামালপুর জেলার ইসলামপুর, বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা,কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর ও হালুয়াঘাট উপজেলা সহ নেত্রকোনা জেলার একটি বড় অংশ এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পার্বত্য এলাকার কিয়দাংশ জুড়ে ছিল সেই রাজ্যের বিস্তৃতি।