ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর
  • আপডেট সময় : ৫১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদী থেকে হুমায়ুন মিয়া নামের এক সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে পৌরশহরের আমবাগান মহল্লার ভোগাই নদী থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিএনজি চালক হুমায়ুন পাশ্ববর্তী নকলা উপজেলার দুকুরিয়া গড়ের গাঁও গ্রামের ফুল মাহমুদের পুত্র। এর আগে একই দিন দুপুরে ওই নদীর আড়াইআনী বাজার ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার ব্যবহৃত দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। সিএনজিটির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ময়মনসিংহ থ-১১-৩৮৯৯। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সোমবার সকালে ভোগাই নদীর আড়াই আনী বাজারের চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘাটে একটি সিএনজি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। সিএনজির কোন মালিক বা চালককের সন্ধান না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে বিকেলে পৌরশহরের আমবাগান মহল্লার ভোগাই নদী থেকে ওই সিএনজি চালক হুমায়ুনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিএনজি চালকের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন তার স্বামীর মরদেহ সনাক্ত করে বলেন,আমার স্বামী গত শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে বের হয়। এরপর রবিবার বিকেলে একবার আমার সাথে কথা হয়েছে। তখন আমার স্বামী জানিয়েছে সে নকলা উপজেলায় আছে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভোগাই নদীতে সিএনজি পরে থাকার খবর পেয়ে এখানে এসেছি। এখানে এসে আমার স্বামীর মরদেহ ও সিএনজির সন্ধান পাই। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সোহেল রানা বলেন,নিহত হুমায়ুন ও তার সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। একইসাথে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় :

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদী থেকে হুমায়ুন মিয়া নামের এক সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে পৌরশহরের আমবাগান মহল্লার ভোগাই নদী থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিএনজি চালক হুমায়ুন পাশ্ববর্তী নকলা উপজেলার দুকুরিয়া গড়ের গাঁও গ্রামের ফুল মাহমুদের পুত্র। এর আগে একই দিন দুপুরে ওই নদীর আড়াইআনী বাজার ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার ব্যবহৃত দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। সিএনজিটির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ময়মনসিংহ থ-১১-৩৮৯৯। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সোমবার সকালে ভোগাই নদীর আড়াই আনী বাজারের চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘাটে একটি সিএনজি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। সিএনজির কোন মালিক বা চালককের সন্ধান না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে বিকেলে পৌরশহরের আমবাগান মহল্লার ভোগাই নদী থেকে ওই সিএনজি চালক হুমায়ুনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিএনজি চালকের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন তার স্বামীর মরদেহ সনাক্ত করে বলেন,আমার স্বামী গত শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে বের হয়। এরপর রবিবার বিকেলে একবার আমার সাথে কথা হয়েছে। তখন আমার স্বামী জানিয়েছে সে নকলা উপজেলায় আছে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভোগাই নদীতে সিএনজি পরে থাকার খবর পেয়ে এখানে এসেছি। এখানে এসে আমার স্বামীর মরদেহ ও সিএনজির সন্ধান পাই। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সোহেল রানা বলেন,নিহত হুমায়ুন ও তার সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। একইসাথে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।