ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরে আগুনে পুড়ে মাদরাসাছাত্রী নাবিলার মর্মান্তিক মৃত্যু

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার শেরপুরে আগুনে পুড়ে নাবিলা (১১) নামের এক মাদরাসাছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত নাবিলা শিবপুর রশিদিয়া দাখিল মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের শিবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলী মাস্টারের পুত্র আবুল কালাম মুকুলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে মাদরাসা ছুটি শেষে নাবিলা বাড়িতে ফিরে আসে। তার মা অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য শেরপুরে গিয়েছিলেন। এ সময় ছোট্ট নাবিলা নিজেই খাওয়ার জন্য চুলায় রান্না করতে গেলে এক পর্যায়ে তার পোশাকে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার শরীরে, ফলে নাবিলা গুরুতর দগ্ধ হয়।
তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দ্রুত আগুন নেভায় এবং তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নাবিলা মৃত্যুবরণ করে। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সোমবার সকাল ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। শিক্ষক, সহপাঠী ও প্রতিবেশিরা বলেন, নাবিলা ছিল মেধাবী ও ভদ্র স্বভাবের মেয়ে—তার অকাল মৃত্যু সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেরপুরে আগুনে পুড়ে মাদরাসাছাত্রী নাবিলার মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় :

বগুড়ার শেরপুরে আগুনে পুড়ে নাবিলা (১১) নামের এক মাদরাসাছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত নাবিলা শিবপুর রশিদিয়া দাখিল মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের শিবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলী মাস্টারের পুত্র আবুল কালাম মুকুলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে মাদরাসা ছুটি শেষে নাবিলা বাড়িতে ফিরে আসে। তার মা অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য শেরপুরে গিয়েছিলেন। এ সময় ছোট্ট নাবিলা নিজেই খাওয়ার জন্য চুলায় রান্না করতে গেলে এক পর্যায়ে তার পোশাকে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার শরীরে, ফলে নাবিলা গুরুতর দগ্ধ হয়।
তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দ্রুত আগুন নেভায় এবং তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নাবিলা মৃত্যুবরণ করে। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সোমবার সকাল ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। শিক্ষক, সহপাঠী ও প্রতিবেশিরা বলেন, নাবিলা ছিল মেধাবী ও ভদ্র স্বভাবের মেয়ে—তার অকাল মৃত্যু সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।