ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খুনের শিকার সাগর-রুনি শনাক্ত হয়নি ২ ঘাতক Logo চট্রগ্রামের মেরিন ড্রাইভ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার মদ ও বিয়ার জব্দ Logo ডামুড্যায় শ্রমিকদলের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত Logo শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু Logo নবীনগরে সার্বজনীন গ্রুপের ফ্রি উদ্যোক্তা ও অলরাউন্ডার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন Logo শৈলকুপায় সরকারি গাছ কেটে নিলো বিএনপি নেতা! Logo ডামুড্যায়  সড়ক দুর্ঘটনায়  গৃহবধূর মৃত্যু  Logo ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন Logo বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo ঈশ্বরগঞ্জে রিক্স সমিতির উদ্যোগে  মহান মে দিবস পালিত 

শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু

চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রহিম (৭০)-সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে মৃত্যু বরণ করেছেন। আজ ৩ মে বাদ আছর মৃত: হাজী আব্দুর রহিম-কে শেরপুরস্থ তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। গুরুতর আহত আব্দুর রহিম-কে আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ( রেজিনং- ৪০৫০৩) ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে- ৩.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হাজী আনহার আলী জানান- আহত হাজী আব্দুর রহিম মৃত্যুবরণ করার পর তার লাশ ময়না তদন্ত করতে বাঁধা সৃষ্টি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় পুলিশের সহযোগীতায় ও পুলিশ প্রহরায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায়। নিহত হাজী আব্দুর রহিম-এর স্ত্রী খেলা বেগম ও তার ছেলে মাসুম আহমদ বলেন- ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু, পুলিশ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কনে নি। এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। জানা গেছে- জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসার সামনে মাটি ভরাট ও পানির রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় কমিটির লোকজনের সাথে প্রতিবেশীর বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসা‘র প্রিন্সিপালসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। উভয়পক্ষের ইট-পাটকেল, ধস্তা-ধস্তির একপর্যায়ে হাজী আব্দুর রহিম শারিরিক ও মানষিক ভাবে আঘাপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান-এর স্বার্থে গত ২৪/০৪/২০২৫ইং মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু-ঐ দিন অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পুনরায় জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে স্থানীয় চান মিয়াগংদের সাথে চরম সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যর্থ হলে যৌত্রবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চান মিয়াসহ আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রহিম (৭০)-সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে মৃত্যু বরণ করেছেন। আজ ৩ মে বাদ আছর মৃত: হাজী আব্দুর রহিম-কে শেরপুরস্থ তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। গুরুতর আহত আব্দুর রহিম-কে আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ( রেজিনং- ৪০৫০৩) ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে- ৩.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হাজী আনহার আলী জানান- আহত হাজী আব্দুর রহিম মৃত্যুবরণ করার পর তার লাশ ময়না তদন্ত করতে বাঁধা সৃষ্টি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় পুলিশের সহযোগীতায় ও পুলিশ প্রহরায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায়। নিহত হাজী আব্দুর রহিম-এর স্ত্রী খেলা বেগম ও তার ছেলে মাসুম আহমদ বলেন- ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু, পুলিশ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কনে নি। এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। জানা গেছে- জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসার সামনে মাটি ভরাট ও পানির রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় কমিটির লোকজনের সাথে প্রতিবেশীর বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসা‘র প্রিন্সিপালসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। উভয়পক্ষের ইট-পাটকেল, ধস্তা-ধস্তির একপর্যায়ে হাজী আব্দুর রহিম শারিরিক ও মানষিক ভাবে আঘাপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান-এর স্বার্থে গত ২৪/০৪/২০২৫ইং মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু-ঐ দিন অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পুনরায় জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে স্থানীয় চান মিয়াগংদের সাথে চরম সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যর্থ হলে যৌত্রবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চান মিয়াসহ আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে।