ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নন্নী শাাহীন স্কুলে ক্রিকেট খেলার আড়ালে অবৈধ র‍্যাফেল ড্র! Logo গাইবান্ধার কামারজানী সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজে ভর্তি শুরু Logo কুড়িগ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের ৪ দফা দাবিতে গণছুটি Logo ভৈরবে ৪ অটোরিকশা চোর গ্রেফতার Logo জবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ২৭ সেপ্টেম্বর Logo পাটকেলঘাটায় গৃহবধুর হাতে শাশুড়ী খুন Logo সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার আসামি গ্রেপ্তার Logo শ্যামনগরে স্বামী হত্যার আসামীদের আটকের দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন Logo শেরপুরে দুদকের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে গণশুনানি Logo ডামুড্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

শ্যামনগরে স্বামী হত্যার আসামীদের আটকের দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
  • আপডেট সময় : ১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা গোবিন্দ পুর ইটভাটা শ্রমিকের হত্যার আসামীদের আটকের পাশাপাশি, পরিবারের নিরাপত্ত্বার দাবীতে নিহতের স্ত্রী আছমা পারভীন আজ সোমবার সকালে উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আছমা পারভীন বলেন, আমার স্বামী ইকবাল হোসেন পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক ছিল। সে আমাদের এলাকা ১। মোঃ হাসান গাজী (৩৫) পিতা- মোঃ আকরাম হোসেন গাজী, ২। আঃ আকরাম হোসেন গাজী (৬০) পিতা- মৃত আবুল হোসেন গাজী, ৩। মিন্টু ওরফে মহিউদ্দিন চৌধুরী (৩৫) পিতা- আব্দুল জব্বার চৌধুরী, সর্বসাং- গোবিন্দপুর, থানা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরাদের সঙ্গে চলাফেরা করিত। গত ইং- ১৫/০৭/২০২৫ তারিখে মোঃ হাসান গাজীর সঙ্গে আমার স্বামী ইকবাল হোসেনের সহিত নারী ঘটিত ব্যাপারে বাকবিতন্ড হয়। অতঃপর গত ইং- ২০/০৭/২০২৫ তারিখে রাত্র ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী নিখোঁজ হয়, পরবর্তীতে গত ইং- ২১/০৭/২০২৫ তারিখে রাত্র ১১.৫০ ঘটিকার সময় অত্র শ্যামনগর থানাধীন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামস্থ মোঃ হাসান গাজী (৩৫) ও মোঃ আকরাম হোসেন গাজী (৬০) এর পুকুর পাড়ের পূর্ব দক্ষিণ কর্ণারে মৃত অবস্থায় বস্তা ও নারিকেল পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মোঃ আকরাম হোসেন গাজী (৬০) আমার স্বামীর লাশ দেখতে পাইয়া অনেক দেরীতে খানায় সংবাদ দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখতে পাইয়া লাশ উদ্ধার করে শ্যামনগর থানার কর্তব্যরত অফিসার থানায় নিয়ে আসে এবং পরে আমার মৃত স্বামীর লাশ ময়না তদন্তের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব বাড়ীতে দাফন কাফনের কার্য সম্পন্ন করা হয়। এবিষয়ে আমি বাদী হইয়া উল্লেখিত ব্যক্তিগন সহ অজ্ঞাত নামা আরও ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ইং- ০৯/০৮/২০২৫ তারিখে ১৪/২৫৩ নং এক মামলা রুজু করি। যাহার ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর মামলার সকল আসামীরা আমাকে মামলা উঠাইয়া নেওয়ার ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি এবং আমার স্বামী তথা স্বামীর পরিবারের কোন সদস্য বাড়ীতে থাকার সাহস পাচ্ছে না। যে কোন সময়ে মামলার আসামীগন সহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা পুনরায় আমার স্বামীর মত হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটাইতে পারে। সে জন্য আপনাদের লিখুনির সহযোগিতায় প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শ্যামনগরে স্বামী হত্যার আসামীদের আটকের দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা গোবিন্দ পুর ইটভাটা শ্রমিকের হত্যার আসামীদের আটকের পাশাপাশি, পরিবারের নিরাপত্ত্বার দাবীতে নিহতের স্ত্রী আছমা পারভীন আজ সোমবার সকালে উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আছমা পারভীন বলেন, আমার স্বামী ইকবাল হোসেন পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক ছিল। সে আমাদের এলাকা ১। মোঃ হাসান গাজী (৩৫) পিতা- মোঃ আকরাম হোসেন গাজী, ২। আঃ আকরাম হোসেন গাজী (৬০) পিতা- মৃত আবুল হোসেন গাজী, ৩। মিন্টু ওরফে মহিউদ্দিন চৌধুরী (৩৫) পিতা- আব্দুল জব্বার চৌধুরী, সর্বসাং- গোবিন্দপুর, থানা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরাদের সঙ্গে চলাফেরা করিত। গত ইং- ১৫/০৭/২০২৫ তারিখে মোঃ হাসান গাজীর সঙ্গে আমার স্বামী ইকবাল হোসেনের সহিত নারী ঘটিত ব্যাপারে বাকবিতন্ড হয়। অতঃপর গত ইং- ২০/০৭/২০২৫ তারিখে রাত্র ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী নিখোঁজ হয়, পরবর্তীতে গত ইং- ২১/০৭/২০২৫ তারিখে রাত্র ১১.৫০ ঘটিকার সময় অত্র শ্যামনগর থানাধীন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামস্থ মোঃ হাসান গাজী (৩৫) ও মোঃ আকরাম হোসেন গাজী (৬০) এর পুকুর পাড়ের পূর্ব দক্ষিণ কর্ণারে মৃত অবস্থায় বস্তা ও নারিকেল পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মোঃ আকরাম হোসেন গাজী (৬০) আমার স্বামীর লাশ দেখতে পাইয়া অনেক দেরীতে খানায় সংবাদ দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখতে পাইয়া লাশ উদ্ধার করে শ্যামনগর থানার কর্তব্যরত অফিসার থানায় নিয়ে আসে এবং পরে আমার মৃত স্বামীর লাশ ময়না তদন্তের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব বাড়ীতে দাফন কাফনের কার্য সম্পন্ন করা হয়। এবিষয়ে আমি বাদী হইয়া উল্লেখিত ব্যক্তিগন সহ অজ্ঞাত নামা আরও ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ইং- ০৯/০৮/২০২৫ তারিখে ১৪/২৫৩ নং এক মামলা রুজু করি। যাহার ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর মামলার সকল আসামীরা আমাকে মামলা উঠাইয়া নেওয়ার ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি এবং আমার স্বামী তথা স্বামীর পরিবারের কোন সদস্য বাড়ীতে থাকার সাহস পাচ্ছে না। যে কোন সময়ে মামলার আসামীগন সহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা পুনরায় আমার স্বামীর মত হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটাইতে পারে। সে জন্য আপনাদের লিখুনির সহযোগিতায় প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।