ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

শ্রম খাত সংস্কারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আরও বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য শ্রম খাতের ব্যাপক সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে শ্রম সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করলে এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন প্রতিনিধিদলকে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আমাদের শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সমান করতে চাই। এটা আমার অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কেবল দেশের শ্রম আইন সংস্কার করতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগগুলো সমাধানের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেই লি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রদ্রিগেজ।

দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী এবং শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো, যারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও পাদুকা কেনে, তারা শ্রম আইন সংস্কার এবং বাংলাদেশের কারখানায় শ্রমিকবান্ধব পরিস্থিতি তৈরিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদক্ষেপকে সমর্থন করে।

প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার গত সাড়ে তিন মাসে শ্রম খাতের জন্য যা করেছে তার এগুলো সবই বিস্ময়কর প্রমাণ, কেলি ফে রদ্রিগেজ উভয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৮-দফা চুক্তিসহ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে লক্ষাধিক গার্মেন্ট ও জুতো শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য কারখানায় ইউনিয়ন অধিকার এবং প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনার আহ্বান জানান।

এটি ব্যবসার জন্য ভালো এবং অর্থনীতির জন্য ভালো —থিয়া মে লি বলেন পোশাক কারখানায় ন্যূনতম মজুরির সুবিধার কথা বলতে গিয়ে। তিনি বলেন, কর্মী ইউনিয়ন হলো গণতন্ত্র প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র।

তিনটি শীর্ষ মার্কিন ব্র্যান্ড পিভিএইচ, ক্যালভিন ক্লেইন ও গ্যাপ ইনকরপোরেটেডের সিনিয়র কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পিভিএইচ করপোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড বলেছেন, তারা বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেছেন এবং কম্বোডিয়ায় অনুরূপ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছেন।

প্রফেসর ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতি জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণা করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের নির্মাতারা সেই অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে পারেন।

বৈঠকে মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডেবও ছিলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারকে পূর্ণ সমর্থন করে।

আমরা আপনার সাথে অংশীদার হতে চাই—বলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শ্রম খাত সংস্কারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ১১:১৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আরও বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য শ্রম খাতের ব্যাপক সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে শ্রম সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করলে এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন প্রতিনিধিদলকে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আমাদের শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সমান করতে চাই। এটা আমার অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কেবল দেশের শ্রম আইন সংস্কার করতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগগুলো সমাধানের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেই লি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রদ্রিগেজ।

দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী এবং শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো, যারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও পাদুকা কেনে, তারা শ্রম আইন সংস্কার এবং বাংলাদেশের কারখানায় শ্রমিকবান্ধব পরিস্থিতি তৈরিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদক্ষেপকে সমর্থন করে।

প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার গত সাড়ে তিন মাসে শ্রম খাতের জন্য যা করেছে তার এগুলো সবই বিস্ময়কর প্রমাণ, কেলি ফে রদ্রিগেজ উভয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৮-দফা চুক্তিসহ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে লক্ষাধিক গার্মেন্ট ও জুতো শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য কারখানায় ইউনিয়ন অধিকার এবং প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনার আহ্বান জানান।

এটি ব্যবসার জন্য ভালো এবং অর্থনীতির জন্য ভালো —থিয়া মে লি বলেন পোশাক কারখানায় ন্যূনতম মজুরির সুবিধার কথা বলতে গিয়ে। তিনি বলেন, কর্মী ইউনিয়ন হলো গণতন্ত্র প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র।

তিনটি শীর্ষ মার্কিন ব্র্যান্ড পিভিএইচ, ক্যালভিন ক্লেইন ও গ্যাপ ইনকরপোরেটেডের সিনিয়র কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পিভিএইচ করপোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড বলেছেন, তারা বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেছেন এবং কম্বোডিয়ায় অনুরূপ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছেন।

প্রফেসর ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতি জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণা করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের নির্মাতারা সেই অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে পারেন।

বৈঠকে মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডেবও ছিলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারকে পূর্ণ সমর্থন করে।

আমরা আপনার সাথে অংশীদার হতে চাই—বলেন তিনি।