সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ শব্দ আমরা চাই না : প্রধান উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড, মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংখ্যালঘু শব্দগুলো আমরা চাই না। বাংলাদেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকব-এটা আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। এসময় বড়দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি বাইবেল উপহার দেন তাঁরা। বড় দিন উপলক্ষ্যে খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. ইউনূস একথা বলেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। বড়দিনকে সামনে রেখে প্রধান ড. ইউনূসের ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৭৪৬টি খ্রিষ্টান ধর্মীয় উপাসনালয়কে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যিশু খ্রিষ্টের জীবনী, আদর্শ ও শান্তির বাণী উল্লেখ করে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
প্রফেসর ইউনূস দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আপনি জ্ঞানী, সৎ এবং বাংলাদেশে সবার আস্থাভাজন ব্যক্তি। বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং খ্রিষ্ট্রান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ইউনূসের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হয়ে উঠুক, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, মমত্ববোধ, মানবপ্রেম, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ক্ষমাশীলতা গড়ে উঠুক। বড়দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা। বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। খ্রিস্টান সম্প্রদায় আপনার পাশে আছে।
বড়দিনকে সামনে রেখে প্রধান ড. ইউনূসের ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৭৪৬টি খ্রিষ্টান ধর্মীয় উপাসনালয়কে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানকে সাতটি ভাগে ভাগ করে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। অনুদান প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চার্চ, গীর্জা ও তীর্থস্থান। খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ অনুদান বিতরণ করা হবে। ক ক্যাটাগরি ৫ টি চার্চ বা গীর্জাকে ৮০ হাজার টাকা, খ ক্যাটাগরির ৫৬ টি চার্চকে ৫০ হাজার টাকা, গ ক্যাটাগরির ৮০ টি গীর্জা বা চার্চকে ৩৫ হাজার টাকা। ঘ ১৩৫ টিকে ৩০ হাজার টাকা, ঙ ক্যাটাগরির ১৫২টি চার্চকে ২৫ হাজার টাকা, চ ক্যাটাগরির ২১৩টি চার্চকে ২০ হাজার এবং ছ ক্যাটাগরির ১০৫ টি চার্চকে ১৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৫০ লক্ষ টাকা পরে বিতরণ করা হবে।