ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সংবিধান সংস্কারে ৬২ প্রস্তাব দিল বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে ৬২টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপির সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব কমিটি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে লিখিত প্রস্তাব তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বিএনপির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, গণভোট, সংসদের উচ্চকক্ষ, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ। তবে বিএনপির মতে, সংবিধান সংস্কারের বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাবনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সূচনা থেকে শুরু করে তফসিল পর্যন্ত ৬২টি জায়গায় বিভিন্ন প্রস্তাব, সংশোধনীর প্রস্তাব জমা দিয়েছি। কমিটি বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশা করি।

প্রস্তাবনার মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রস্তাবে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদের রক্তের অঙ্গীকার ও বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যাতে সংসদীয় একনায়কতন্ত্র সৃষ্টি না হয়, সেগুলো মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তাবনা দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন না হয় সে বিধান রেখেছি। নতুন করে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টির বিধানের প্রস্তাব করেছি।

বিচার বিভাগের বিষয়ে বিএনপি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ যাতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে থাকে। নতুন পদ হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজনের প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এটা আগে ছিল আমরা তা পুনপ্রবর্তনের বিধানের প্রস্তাব করেছি। যে সমস্ত বিষয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বেশি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানুষের একনম্বর আকাঙ্ক্ষা, সেটি আদালতের বিচারাধীন আছে, আশাকরি মানুষের পক্ষে আসবে। গণভোটের বিধান পুনর্প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংবিধান সংস্কারে ৬২ প্রস্তাব দিল বিএনপি

আপডেট সময় : ০২:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

 

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে ৬২টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপির সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব কমিটি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে লিখিত প্রস্তাব তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বিএনপির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, গণভোট, সংসদের উচ্চকক্ষ, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ। তবে বিএনপির মতে, সংবিধান সংস্কারের বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাবনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সূচনা থেকে শুরু করে তফসিল পর্যন্ত ৬২টি জায়গায় বিভিন্ন প্রস্তাব, সংশোধনীর প্রস্তাব জমা দিয়েছি। কমিটি বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশা করি।

প্রস্তাবনার মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রস্তাবে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদের রক্তের অঙ্গীকার ও বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যাতে সংসদীয় একনায়কতন্ত্র সৃষ্টি না হয়, সেগুলো মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তাবনা দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন না হয় সে বিধান রেখেছি। নতুন করে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টির বিধানের প্রস্তাব করেছি।

বিচার বিভাগের বিষয়ে বিএনপি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ যাতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে থাকে। নতুন পদ হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজনের প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এটা আগে ছিল আমরা তা পুনপ্রবর্তনের বিধানের প্রস্তাব করেছি। যে সমস্ত বিষয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বেশি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানুষের একনম্বর আকাঙ্ক্ষা, সেটি আদালতের বিচারাধীন আছে, আশাকরি মানুষের পক্ষে আসবে। গণভোটের বিধান পুনর্প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছি।