সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

- আপডেট সময় : ১১ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহের তারাকান্দা- ধোবাউড়া সড়ক সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে লাখো মানুষের। জানা গেছে, তারাকান্দা উপজেলা সদর থেকে ধোবাউড়া উপজেলা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১ কিলোমিটার। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তারাকান্দা হতে ধোবাউড়া সড়কের প্রবেশ পথে সার্বক্ষণিক যানজটে আটকে থাকতে হয়। তাছাড়া নির্দিষ্ট কোনো বাসস্ট্যান্ডের জায়গা না থাকায় যত্রতত্র নির্বিকার থেমে যানযটের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে গাড়িগুলো। সিএনজি, মাহেন্দ্র, অটোরিকশা, মোটরবাইকসহ সকল পরিবহনের অস্থায়ী স্ট্যান্ড হলো এ মোড়টি। যার জন্য শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
তারাকান্দা থেকে ধোবাউড়া রোডের ঢেওহাতলী মোড়ে ও সামনের রাস্তার গর্তের কারণে বেশ ক’টি ট্রাক ইতিমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তার দু’পাশে ফিসারি থাকায় পানি আটকে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রতিদিন অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। জানা যায়, ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু জায়গায় স্পিডব্রেকার (গতিরোধক) দেয়া হয়েছে। সেগুলো আবার মার্কিং করা নেই, সেসব স্থানে দুর্ঘটনায় মারা গেছে এ পর্যন্ত প্রায় ৭/৮ জন। বেহাল অবস্থায় রয়ে গেছে ধোবাউড়া ভায়া তারাকান্দা সড়কের বিভিন্ন বাজারের অংশগুলো। বিশেষ করে ভুষাগঞ্জ, হরিয়াগাই, টিউকান্দা চৌরাস্তা, কেন্দুয়া, বওলাসহ পথিমধ্যে আরও বেশক’টি বাজারের অংশ নাজুক।
সরজমিন দেখা যায়, তারাকান্দা বাজার থেকে ধোবাউড়া সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত সেইসঙ্গে ধুলার অত্যাচার। এ সময় ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থী, পথচারী, রোগীসহ পাহাড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের।
তারাকান্দা থেকে ধোবাউড়া উপজেলার ৩১ কিলোমিটার সড়কের মোট ১৯ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগই খানাখন্দে ভরা। এলজিইডি কর্তৃক পরিচালনাধীন এ সড়কের এমন বেহাল দশায় উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহন ভাড়া। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রসূতিসহ সাধারণ রোগীরা। এছাড়া গোয়াতলা থেকে ফুলপুর, তারাকান্দা সড়কের অবস্থা আরও নাজুক। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়ক মেরামতের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে মেরামত না করলে রাস্তাটি পরিত্যক্ত হবে বলে জানান যানবাহনের ড্রাইভার ও ভুক্তভোগীরা। কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যারা এ রাস্তা নিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আমরা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনি আর আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মেরামত করা হয় না। অবিলম্বে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এ সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।