ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

সংস্কারে ধীরগতি

মহিউদ্দিন তুষার
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্রুত নির্বাচনের আগ্রহ রাজনৈতিক দলগুলোর

* নির্বাচন হলে দেশের চলমান সমস্যাগুলো চলে যাবে : মির্জা ফখরুল

* দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই : ১২ দলীয় জোট
* ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের রোডম্যাপ করতে হবে : গোলাম পরওয়ার

* অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে : ড. অলি আহমদ
* দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত : রাশেদ খান

 

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। দেশ তিন দিন সরকারবিহীন থাকার নজিরবিহীন ঘটনার পর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বরর্তী সরকার দেশের হাল ধরে। তার আগে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় দ্বাদশ সংসদ। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠন করে।
বাংলাদেশে সংস্কারের উদ্যোগ নতুন কিছু নয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কয়েকটি সংস্কার কমিশন সুপারিশসহ রিপোর্ট দিলেও এসব সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিংবা আদৌ হবে কি না অথবা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে- তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কারে প্রদত্ত সুপারিশগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে রোডম্যাপ তৈরির কাজে গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র ও রাজনীতির পুরনো ছক বদলাতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলো এখন কাজ গুছিয়ে আনতে ব্যস্ত। তবে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত আশানুরূপ সংস্কার করতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা অস্থিরতা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। সাধারণ মানুষের মধ্যে সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। এদিগে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা। অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে একাট্টা দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে একমত বিএনপির মিত্র অন্তত ৫২টি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের চলমান সমস্যাগুলো তত দ্রুত চলে যাবে। জনগণের ভাষাটা তো বুঝতে হবে। সেটা আপনার একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য তিনি সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে, আমরা তা তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কারটা, সেটা করে নির্বাচন করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে।

সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই মুহূর্তে অপেক্ষা করছে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার ও সংসদ গঠন করার জন্য। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। বাংলাদেশে সার্বিক সমস্যার সমাধানকল্পে দেশি-বিদেশি যে বিষয়গুলো আছে, সবগুলোর জন্য একটি নির্বাচিত সরকার এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের দুর্বলতাগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে। জনগণের মধ্যে এই উপলব্ধি হয়েছে, রাজনৈতিক সরকার ছাড়া চলমান সংকটগুলো সমাধান সেভাবে করা যাবে না। আমরা চাই অনির্বাচিত সরকারের যেহেতু জবাবদিহিতা নেই, তাই জবাবদিহিতার সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার সফল হতে পারছে না। এটা আমাদের পীড়া দিচ্ছে। এই সরকার তো আমাদের, তারা যেন সুন্দরমতো একটা সেইফ এক্সিট নিতে পারে, সেজন্য আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অঙ্গ দুর্নীতি ও দলীয়করণে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোর সংস্কার জরুরি। সংস্কার না করে এখন নির্বাচন দেওয়া হলে ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো ভোট হবে। ছাত্র-জনতার এই রক্ত বৃথা যাবে। নির্বাচন ভালো করতে গেলে কমপক্ষে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ বিভাগ, সিভিল বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সাত-আট জায়গায় সংস্কার করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটা বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আপনি নিশ্চিত করবেন। সেটা করার জন্য যেসব অর্গান (অঙ্গগুলো) সংস্কার করা লাগে, আপনি করুন। এগুলো সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ করতে হবে।

এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এখন মূল বিষয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সরকারের মূল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ সংস্কার করা। ন্যূনতম যে প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া যায় ততটুকু করতে পারে। এই সরকার তো রাজনৈতিক সরকার নয় যে, তাদের সবকিছু করতে হবে। এটা তো এই সরকারের দায়িত্ব নয়। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংস্কারে ধীরগতি

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

দ্রুত নির্বাচনের আগ্রহ রাজনৈতিক দলগুলোর

* নির্বাচন হলে দেশের চলমান সমস্যাগুলো চলে যাবে : মির্জা ফখরুল

* দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই : ১২ দলীয় জোট
* ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের রোডম্যাপ করতে হবে : গোলাম পরওয়ার

* অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে : ড. অলি আহমদ
* দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত : রাশেদ খান

 

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। দেশ তিন দিন সরকারবিহীন থাকার নজিরবিহীন ঘটনার পর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বরর্তী সরকার দেশের হাল ধরে। তার আগে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় দ্বাদশ সংসদ। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠন করে।
বাংলাদেশে সংস্কারের উদ্যোগ নতুন কিছু নয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কয়েকটি সংস্কার কমিশন সুপারিশসহ রিপোর্ট দিলেও এসব সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিংবা আদৌ হবে কি না অথবা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে- তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কারে প্রদত্ত সুপারিশগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে রোডম্যাপ তৈরির কাজে গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র ও রাজনীতির পুরনো ছক বদলাতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলো এখন কাজ গুছিয়ে আনতে ব্যস্ত। তবে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত আশানুরূপ সংস্কার করতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা অস্থিরতা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। সাধারণ মানুষের মধ্যে সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। এদিগে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা। অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে একাট্টা দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে একমত বিএনপির মিত্র অন্তত ৫২টি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের চলমান সমস্যাগুলো তত দ্রুত চলে যাবে। জনগণের ভাষাটা তো বুঝতে হবে। সেটা আপনার একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য তিনি সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে, আমরা তা তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কারটা, সেটা করে নির্বাচন করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে।

সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই মুহূর্তে অপেক্ষা করছে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার ও সংসদ গঠন করার জন্য। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। বাংলাদেশে সার্বিক সমস্যার সমাধানকল্পে দেশি-বিদেশি যে বিষয়গুলো আছে, সবগুলোর জন্য একটি নির্বাচিত সরকার এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের দুর্বলতাগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে। জনগণের মধ্যে এই উপলব্ধি হয়েছে, রাজনৈতিক সরকার ছাড়া চলমান সংকটগুলো সমাধান সেভাবে করা যাবে না। আমরা চাই অনির্বাচিত সরকারের যেহেতু জবাবদিহিতা নেই, তাই জবাবদিহিতার সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার সফল হতে পারছে না। এটা আমাদের পীড়া দিচ্ছে। এই সরকার তো আমাদের, তারা যেন সুন্দরমতো একটা সেইফ এক্সিট নিতে পারে, সেজন্য আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অঙ্গ দুর্নীতি ও দলীয়করণে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোর সংস্কার জরুরি। সংস্কার না করে এখন নির্বাচন দেওয়া হলে ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো ভোট হবে। ছাত্র-জনতার এই রক্ত বৃথা যাবে। নির্বাচন ভালো করতে গেলে কমপক্ষে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ বিভাগ, সিভিল বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সাত-আট জায়গায় সংস্কার করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটা বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আপনি নিশ্চিত করবেন। সেটা করার জন্য যেসব অর্গান (অঙ্গগুলো) সংস্কার করা লাগে, আপনি করুন। এগুলো সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ করতে হবে।

এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এখন মূল বিষয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সরকারের মূল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ সংস্কার করা। ন্যূনতম যে প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া যায় ততটুকু করতে পারে। এই সরকার তো রাজনৈতিক সরকার নয় যে, তাদের সবকিছু করতে হবে। এটা তো এই সরকারের দায়িত্ব নয়। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।