ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক শরণার্থী শিবির বাংলাদেশের কক্সবাজারে। এখানে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে। একে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডির মতে এটিই বিশ্বে সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রায়ই বিপজ্জনকভাবে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়। কয়েকদিন সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা

কয়েকদিন নৌকায় করে সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছেছে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা।

ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তা সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি দেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যে নতুন করে এই রোহিঙ্গারা সেখানে পৌঁছল।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী। তারা প্রায়ই বিপজ্জনক ভাবে নৌ পথ ব্যবহার করে শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড বা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়।

সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে সাগর পথে রোহিঙ্গারা এই দেশগুলোতে পাড়ি জমায়। কারণ, তখন সাগর শান্ত থাকায় চলাচল অনেকটা ঝুঁকি মুক্ত।

আচেহর মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রধান মিফতাচ জুত আদেক রয়টার্স কে জানান, রোববার সন্ধ্যায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিম আচেহর পশ্চিম পিউরুলাক অঞ্চলে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা ফয়সাল রহমান বলেন, সংস্থাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং তাদের দল সোমবার পশ্চিম পিউরেলাকের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে।

রয়টার্স জানায় গত বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছিল।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে তাদেরকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না। বরং উল্টে নির্যাতন করা হয়।

ইউএনএইচসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছে। এটা গত চার বছরের মোট আশ্রয়প্রার্থীর চেয়ে বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক শরণার্থী শিবির বাংলাদেশের কক্সবাজারে। এখানে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে। একে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডির মতে এটিই বিশ্বে সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রায়ই বিপজ্জনকভাবে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়। কয়েকদিন সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা

কয়েকদিন নৌকায় করে সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছেছে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা।

ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তা সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি দেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যে নতুন করে এই রোহিঙ্গারা সেখানে পৌঁছল।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী। তারা প্রায়ই বিপজ্জনক ভাবে নৌ পথ ব্যবহার করে শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড বা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়।

সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে সাগর পথে রোহিঙ্গারা এই দেশগুলোতে পাড়ি জমায়। কারণ, তখন সাগর শান্ত থাকায় চলাচল অনেকটা ঝুঁকি মুক্ত।

আচেহর মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রধান মিফতাচ জুত আদেক রয়টার্স কে জানান, রোববার সন্ধ্যায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিম আচেহর পশ্চিম পিউরুলাক অঞ্চলে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা ফয়সাল রহমান বলেন, সংস্থাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং তাদের দল সোমবার পশ্চিম পিউরেলাকের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে।

রয়টার্স জানায় গত বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছিল।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে তাদেরকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না। বরং উল্টে নির্যাতন করা হয়।

ইউএনএইচসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছে। এটা গত চার বছরের মোট আশ্রয়প্রার্থীর চেয়ে বেশি।