ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ২০৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি আইএসপিআর

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

রোববার (২১ এপ্রিল) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গোলান্দাজ বাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে তৎকালীন বাঙালি সেনারা ৭১ এর ২২ জুলাই ৬টি কামান নিয়ে ত্রিপুরা কোনাবান অঞ্চলে গড়ে তে লেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম আর্টিলারি ইউনিট।

প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন

যার নাম দেয়া হয় মুজিব ব্যাটারি। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধদের ময়দানে গর্জে ওঠে মুজিব ব্যাটারির কামান। বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় পিছু হটতে থাকে পাক বাহিনী। যাতে ত্বরান্বিত হয় বিজয়।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুজিব ব্যাটারি স্মরণে চট্টগ্রামে হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স।

উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব। আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে হতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

রোববার (২১ এপ্রিল) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গোলান্দাজ বাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে তৎকালীন বাঙালি সেনারা ৭১ এর ২২ জুলাই ৬টি কামান নিয়ে ত্রিপুরা কোনাবান অঞ্চলে গড়ে তে লেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম আর্টিলারি ইউনিট।

প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন

যার নাম দেয়া হয় মুজিব ব্যাটারি। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধদের ময়দানে গর্জে ওঠে মুজিব ব্যাটারির কামান। বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় পিছু হটতে থাকে পাক বাহিনী। যাতে ত্বরান্বিত হয় বিজয়।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুজিব ব্যাটারি স্মরণে চট্টগ্রামে হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স।

উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব। আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে হতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট।