সিরাজগঞ্জে বিক্রিত জমি ফেরত নেবার অপচেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৪:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে ২০ বছর আগের বিক্রিত জমি ফেরত নেবার অপচেষ্টা ও এর জের ধরে আদালতে বারবার মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে নিরীহ লোকদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের ডাব্লিওএফ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এমন এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. নিজাম উদ্দিন প্রামানিক (৭২) ও মো. আলী প্রামানিক (৫০)।
লিখিত বক্তব্যে নিজাম উদ্দিন প্রামানিক বলেন, ২০০২ সালে উল্লাপাড়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান এবং তার স্ত্রী শেফালী খাতুনদ্বয়ের নিকট থেকে ১১ ডিসিমাল জমি ক্রয় করি। তেবাবাড়িয়া মোজাস্ত যাহার দলিল নং-৮০০৫, এস এস খতিয়ান নং-৮৮, হাল-১৮৫, সাবেক দাগ-৩৯৫, হাল-৪৮২ জমি বিক্রি করে তারা সেখান থেকে অন্যত্র বসবাস করতে থাকেন। আমরা ওই ১১ শতক জায়গার উপরে বসতবাড়ি করে ভোগ দখল করে আসতেছি। জমি বিক্রিয়ের ২০ বছর পর হঠাৎ জমি ফেরত চেয়ে মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী শেফালী খাতুন বাদি হয়ে মোট চার জনের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উল্লাপাড়া আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলাটি মিথ্যা প্রামাণিত হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে শেফালী খাতুন দলিল দুটি মিথ্যা দাবি করে আবারো আদালতে হয়রানিমুলক মামলা করেন। আদলত মামলাটি তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। মামলাটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহবুব মোরশেদ খানকে নিয়োগ দেয়া হয়। মামলাটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা জমির দলিলে স্বাক্ষর ও টিপসই করা শেফালী খাতুনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপাটে পাঠালে তা তার সাথে মিলে যায়। তাদের মামলা ও অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতে প্রেরণ করা হলে পরে আদালত মামলাটি ডিসমিস করে দেন। পরে শেফালী খাতুন আবারো আদালতে নতুন করে পিটিশন মামলা ১১৮/২০২২ দায়ের করেন। মামলাটি আদালত সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. তোফাজ্জাল হোসেনকে আই/ও নিয়োগ করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানেও পূর্বের মতো মামলাটি আগের মতো মিথ্যা প্রমানিত হয়। মামলাটি নারাজি দিলে তা না মঞ্জুর করে আদালত মামলাটি নথিজাত করেন।
নিজাম উদ্দিন প্রামানিক আরো বলেন, পরবর্তীতে অভিযোগকারীনি শেফালী খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা দুটি কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহবুব মোরশেদ খান ও সিআইডি’র এসআই তোফাজ্জাল হোসেনদদ্বয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টাস বরাবর “জাল দলিলের মামলা বাদী জীবিত থাকা অবস্থায় তার সম্পাদের দুই দলিল জালিয়াতি করা হয়েছে’ শিরোনামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধরকে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পরে উক্ত প্রতিবেদন অভিযোগকারীনি শেফালী খাতুনের পক্ষে না হওয়ায় তিনি নতুন করে অভিযোগের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা উল্লাপাড়া সার্কেল অফিসারসহ অন্যান্যদের নামে সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে ও পুলিশ হেডকোয়ার্টাস বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগটি পুলিশ অফিসের একজন উদ্ধর্তন কর্মকর্তা তদন্ত করেন। এভাবে মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী দিনের পর দিন আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। আর এই মামলা চালাতে গিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে জানার জন্য মামলার বাদী শেফালী খাতুনের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।