স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিতে জৈন্তাপুরের চারিকাটায় অবস্থিত “দি মেঘালয় টি এস্টেট এন্ড খোদেজা বহুমুখী ফার্ম লি.” নামক চা-বাগানের ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে চারিকাটা ইউনিয়নের পাঁচ মৌজার বাসিন্দাদের সংগঠিত এ প্রতিবাদ কর্মসূচি চতুল-দরবস্ত কানাইঘাট সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিক্ষোভ মিছিলটি লালাখাল-চতুল বাজার সড়ক দিয়ে জাফরাং ব্রিজ অতিক্রম করে চতুল বাজারে সমবেত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আমির আলী। সিলেট জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বিলাল, চারিকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েলসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা উল্লেখ করেন,”এই এলাকার মানুষ স্বাধীনতার আগে থেকেই বসবাস করছেন। কিন্তু ‘দি মেঘালয় টি এস্টেট’-এর নামে ইজারা দেওয়ায় তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। আমরা দাবি করছি, স্থানীয় বাসিন্দাদের নামে জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হোক।”
চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্রিখেল পূর্ব, ভিত্রিখেল পশ্চিম, ভিত্রিখেল উত্তর, নয়াখেল উত্তর ও নয়াখেল দক্ষিণ—এই পাঁচ মৌজায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন। ২০০৮ সাল থেকে তারা *”দি মেঘালয় টি এস্টেট”*-এর জমি বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী রাজনৈতিক যোগসাজশে এই জমির ইজারা নিয়েছে, যা তাদের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করছে।
ইতিমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে এবং সিলেট জেলা প্রশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বক্তারা জোর দাবি জানান, “তদন্তে স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দেওয়া হোক।”
বক্তারা সতর্ক করে বলেন, “যদি দ্রুত ইজারা বাতিল না হয়, তাহলে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ ও সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।”
অন্যান্যের মধ্যে ইউপি সদস্য মনির আহমেদ, হাফিজ জালাল উদ্দীন, কামাল উদ্দিন, সামসুল হক, আবদুল মালিক, জহিরুল ইসলাম, নেছার আহমেদ, ফয়সল আহমেদ, জুবায়ের আহমেদ ও মাষ্টার দেলোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন।
এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও স্থানীয়দের ন্যায্য দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।