সিলেট ৬- দুই নারীর প্রচারণায় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা!
- আপডেট সময় : ৪৫ বার পড়া হয়েছে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই নারী প্রার্থী সৈয়দ আদিবা হোসেন ও সাবিনা খান পপি ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে সক্রিয় প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সৈয়দ আদিবা হোসেন দুইবারের সাবেক এমপি প্রয়াত সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়ার কন্যা। ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা আদিবা হোসেন স্থানীয় জনমনে সুপরিচিত। রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়তার কারণে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
অন্যদিকে, সাবিনা খান পপি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি প্রয়াত কবরউদ্দিনের কন্যা। বিদেশে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক দায়িত্বে থাকার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তার পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাব তাকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় তার সক্রিয় উপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুই নারী প্রার্থী তারেক রহমান ঘোষিত “৩১ দফা” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনরাত ছুটে চলেছেন। গ্রামে-গ্রামে হেঁটে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন, গণসংযোগ সভা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারে গণমেলায় অংশগ্রহণ — সব মিলিয়ে তাদের কর্মসূচি ব্যাপক এবং প্রভাবশালী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই প্রভাবশালী পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে নারীদের সক্রিয় উপস্থিতি স্থানীয় রাজনৈতিক চিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করছে।
এ প্রসঙ্গে গোলাপগঞ্জ এলাকার একজন ভোটার জানান, “আমরা দেখছি, দুই প্রার্থীই গ্রামের প্রতিটি সমস্যা শুনছেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর ফলে আমাদের ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও সহজ এবং সচেতন হয়ে উঠেছে।” অন্য একজন বলেন, “নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয় প্রচারণা আমাদের এলাকায় নতুন উদ্দীপনা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করেছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিলেট-৬ আসনের দুই নারীর মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয় প্রচারণা শুধু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নয়, বরং সমাজে নারী নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ভোটাররা প্রথমবারের মতো নারীদের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি দেখার অপেক্ষায়।
মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর, এই দুই নারীর প্রচারণা আরও তীব্র হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনী মাঠে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে এবং ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণের মাত্রা বাড়াচ্ছে।
সার্বিকভাবে, সৈয়দ আদিবা হোসেন ও সাবিনা খান পপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সিলেট-৬ আসনে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছেন। এটি স্থানীয় রাজনীতিতে নারী নেতৃত্বের শক্তিশালী উপস্থিতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।



















