ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo জামালপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণসভা Logo ঘাটাইলে স্বাধীন বাংলা মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলকে নির্বাচন মুখী করতে বিএনপির আলোচনা সভা Logo গোলাপগঞ্জে শিশু ধর্ষনের মিথ্যা মামলার অভিযোগে মানববন্ধন Logo ভেদরগঞ্জে জমি বিক্রির বায়না নিয়ে প্রতারণায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ Logo খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন Logo বাগেরহাটে আসন পুনর্বহালের আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান Logo শেরপুরে নিখোঁজের দুদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার Logo বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে সর্বাত্মক হরতাল পালিত

সুন্দরবনের দুবলার চরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে শুঁটকি মৌসুম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৯১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শুঁটকি প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত জেলেদের আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লীতে আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদন মৌসুম। বন বিভাগের বিশেষ টহল ফাঁড়ির অধীন চারটি চরে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই শুঁটকি উৎপাদন।

চলতি বছর সাড়ে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হচ্ছে পাঁচ মাসের এই বিশাল মহাকর্মযজ্ঞ। রোববার থেকে সুন্দরবন বিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে জেলে-বহদ্দাররা নৌপথে যাত্রা শুরু করেন অস্থায়ী শুঁকটি পল্লীর উদ্দেশে।

এই প্রথম শুঁটকি প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত জেলেদের আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানকারীদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, শিশুশ্রম বন্ধসহ বনের অভ্যন্তরে যাতে কেউ অপরাধ করে পার না পায় সেকারণেই আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।

বন বিভাগ জানায়, শুঁটকি উৎপাদনকারী চরগুলোতে এ বছর জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ৯৮৫টি ঘর, ৫৭টি ডিপো ও ৯৩টি দোকান স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুবলার আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শ্যালারাচরে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে ও শ্রমিক অবস্থান করবেন।

তারা পাঁচ মাস সাগরে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণে নিয়োজিত থাকবেন। দুবলা ফিশারমেন গ্রুপ সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, শুঁটকি পল্লীতে আসতে ইতোমধ্যে জেলে মহাজনরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে রবিবার মধ্যরাত থেকে তারা চরে যাওয়া শুরু করবেন। কার্ডে জেলেদের সঠিক পরিচয় থাকবে।

কোনো জেলে ছুটি নিয়ে যখন তারা বাড়ি যান, তখন তাদের পথে পথে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। তাদের কাছে বনবিভাগের এই আইডি কার্ড থাকলে হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন। শুঁটকি মৌসুমে চরগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার পানি সরবরাহ ও অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের দাবি এই মৎস্যজীবী নেতার।

শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার খলিলুর রহমান জানান, শুঁটকি খাত থেকে এ মৌসুমে সাড়ে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আয় হয়েছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তা পূরণ হবে আশা করেন তারা। জেলেদের কার্ড দেওয়ায় অপরাধ প্রবণতা এবং শিশুশ্রমও কমে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুন্দরবনের দুবলার চরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে শুঁটকি মৌসুম

আপডেট সময় :

 

শুঁটকি প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত জেলেদের আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লীতে আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদন মৌসুম। বন বিভাগের বিশেষ টহল ফাঁড়ির অধীন চারটি চরে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই শুঁটকি উৎপাদন।

চলতি বছর সাড়ে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হচ্ছে পাঁচ মাসের এই বিশাল মহাকর্মযজ্ঞ। রোববার থেকে সুন্দরবন বিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে জেলে-বহদ্দাররা নৌপথে যাত্রা শুরু করেন অস্থায়ী শুঁকটি পল্লীর উদ্দেশে।

এই প্রথম শুঁটকি প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত জেলেদের আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানকারীদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, শিশুশ্রম বন্ধসহ বনের অভ্যন্তরে যাতে কেউ অপরাধ করে পার না পায় সেকারণেই আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।

বন বিভাগ জানায়, শুঁটকি উৎপাদনকারী চরগুলোতে এ বছর জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ৯৮৫টি ঘর, ৫৭টি ডিপো ও ৯৩টি দোকান স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুবলার আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শ্যালারাচরে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে ও শ্রমিক অবস্থান করবেন।

তারা পাঁচ মাস সাগরে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণে নিয়োজিত থাকবেন। দুবলা ফিশারমেন গ্রুপ সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, শুঁটকি পল্লীতে আসতে ইতোমধ্যে জেলে মহাজনরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে রবিবার মধ্যরাত থেকে তারা চরে যাওয়া শুরু করবেন। কার্ডে জেলেদের সঠিক পরিচয় থাকবে।

কোনো জেলে ছুটি নিয়ে যখন তারা বাড়ি যান, তখন তাদের পথে পথে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। তাদের কাছে বনবিভাগের এই আইডি কার্ড থাকলে হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন। শুঁটকি মৌসুমে চরগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার পানি সরবরাহ ও অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের দাবি এই মৎস্যজীবী নেতার।

শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার খলিলুর রহমান জানান, শুঁটকি খাত থেকে এ মৌসুমে সাড়ে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আয় হয়েছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তা পূরণ হবে আশা করেন তারা। জেলেদের কার্ড দেওয়ায় অপরাধ প্রবণতা এবং শিশুশ্রমও কমে আসবে।