ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

সুবর্ণচরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এ কর্মবিরতিতে ফার্মেসি, এক্স-রে ও প্যাথলজি বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
হঠাৎ এ কর্মবিরতিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তবে নিজেদের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে গত ৩০ নভেম্বরও সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করেন।
এদিকে দাবিপূরণ না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
কর্মবিরতি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ফার্মাসিস্ট খায়রুল ইসলাম, তুষার কুমার পোদ্দার, রাকিবুল ইসলাম, মো. নাসির উদ্দীন, মো. রাসেল উদ্দিন, শিশির লাল সাহা, মিশু মজুমদার, মো. নুরুল হুদা পলাশসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
কর্মবিরতি চলাকালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তুষার কুমার পোদ্দার বলেন, “১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা আজ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। দাবি পূরণ না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে। দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে এ দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আগের সরকার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। ফলে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করি। করোনা ও ডেঙ্গুর মতো ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি, তবুও ন্যায্য গ্রেড পাইনি। কর্মবিরতিতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন—এটা আমরা চাই না। তাই আশা করছি বর্তমান সরকার দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবে, যাতে আমরা কর্মস্থলে ফিরে রোগীদের সেবা দিতে পারি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুবর্ণচরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি

আপডেট সময় :

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এ কর্মবিরতিতে ফার্মেসি, এক্স-রে ও প্যাথলজি বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
হঠাৎ এ কর্মবিরতিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তবে নিজেদের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে গত ৩০ নভেম্বরও সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করেন।
এদিকে দাবিপূরণ না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
কর্মবিরতি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ফার্মাসিস্ট খায়রুল ইসলাম, তুষার কুমার পোদ্দার, রাকিবুল ইসলাম, মো. নাসির উদ্দীন, মো. রাসেল উদ্দিন, শিশির লাল সাহা, মিশু মজুমদার, মো. নুরুল হুদা পলাশসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
কর্মবিরতি চলাকালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তুষার কুমার পোদ্দার বলেন, “১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা আজ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। দাবি পূরণ না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে। দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে এ দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আগের সরকার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। ফলে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করি। করোনা ও ডেঙ্গুর মতো ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি, তবুও ন্যায্য গ্রেড পাইনি। কর্মবিরতিতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন—এটা আমরা চাই না। তাই আশা করছি বর্তমান সরকার দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবে, যাতে আমরা কর্মস্থলে ফিরে রোগীদের সেবা দিতে পারি।”