সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা
সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন

- আপডেট সময় : ০১:০২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব বলে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি
দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপসহীন বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের অপারেশনস্ পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা। গতকাল সোমবার দুপুরে সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে করিডরের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশাল মতপার্থক্য হয়েছে, বিভেদ রয়েছে, মিডিয়াতে বিষয়টি যেভাবে আসছে, এ রকম আসলেই কিছু হয়নি। আমরা একে অপরের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সুন্দরভাবে কাজ করছি। এটা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়গুলো জটিলভাবে চিন্তা না করে সহজভাবে ভাবার আহ্বান জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, আমরা যেন বিষয়টিকে এমনভাবে না দেখি যে সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে এবং একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কখনোই নয়। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব বলে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, করিডর একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। দেশের স্বার্থ সেনাবাহিনীর কাছে সবার আগে। তাই দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনও ধরনের আপস নয়। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি যে কোনও সময়ের চেয়ে বর্তমানে সংবেদনশীল। সেনাবাহিনী এ বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। কেএনএফের জন্য তৈরি চট্টগ্রামে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, কে এন এ কুকি জনগোষ্ঠীর সংগঠন, পুরো সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। তাহলে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেন বানানো হচ্ছিল? এর কতটুকু সত্যতা এবং নেপথ্যে কী আছে, সবগুলো সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে নাগরিকদের ‘পুশইন’ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে বিষয়গুলো মোকাবিলা করছে। যদি কোনও কারণে প্রয়োজন হয়, বা সরকার আদেশ দিলে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীও কাজ করবে। বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এর আগে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিগত ৪০ দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন অপারেশনস পরিদফতরের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মব ভায়লেন্স ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে স্থিতিশীল বা কোথাও উন্নতিও আছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর একার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্য সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে হবে।