ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

স্ত্রী যন্ত্রণা সইতে না পেরে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

নুর হোসেন নুরানী, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
  • আপডেট সময় : ৬০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর যন্ত্রণা ও দাম্পত্য কলহ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন লোকমান সরদার (৩২) নামের এক দরজি দোকানি। গত শনিবার রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারসংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত্যুর আগে লোকমান তিন পৃষ্ঠার একটি চিরকুট লিখে যান। সেখানে তিনি আত্মহত্যার জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে উল্লেখ করেন—
“আমার বউ আমার মরার দায়ি। কারণ সে টাকা-টাকা করতো। আর আমার কথা শুনতো না। আমায় মিথ্যা ভালোবাসতো, আমি তা জানতাম। আমার সাথে ধরা পড়ছে, তা শাশুড়িও জানতো আরও অনেকে জানে। তাই আমি বুঝে গেছি আমার টাকা না থাকলে আমায় ছেড়ে চলে যাবে। তাই আমি মরে গেলাম। সবাই ভালো থাকো।”
“আমি শেষ চেষ্টা করছি, পারিনি। সব টাকা শেষ। তাই বেঁচে থেকে লাভ নাই। তুমি আমায় বিশ্বাস করলা না, তাই একাজ করছি। সবাই বলে আমি খারাপ। যেই বাসায় ভাড়া থাকি তারাও বলে আমি চোর। আমি আর নিতে পারিনি।”
“আমার বাবায় বলে আমার কথা হয় না। আমার বাবায় বলে আমি কি করব।”
রক্ত দিয়ে তিনি শেষ পৃষ্ঠায় লিখে যান— “আম্মা”।
এরপর তিনি লেখেন— “তাই মারা গেলাম। সবাই ভালো থাকবেন।”
পুলিশ জানায়, লোকমান পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের জাকির সরদারের ছেলে। তিনি পাখিমারা বাজারে দরজি দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্ত্রী যন্ত্রণা সইতে না পেরে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় :

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর যন্ত্রণা ও দাম্পত্য কলহ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন লোকমান সরদার (৩২) নামের এক দরজি দোকানি। গত শনিবার রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারসংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত্যুর আগে লোকমান তিন পৃষ্ঠার একটি চিরকুট লিখে যান। সেখানে তিনি আত্মহত্যার জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে উল্লেখ করেন—
“আমার বউ আমার মরার দায়ি। কারণ সে টাকা-টাকা করতো। আর আমার কথা শুনতো না। আমায় মিথ্যা ভালোবাসতো, আমি তা জানতাম। আমার সাথে ধরা পড়ছে, তা শাশুড়িও জানতো আরও অনেকে জানে। তাই আমি বুঝে গেছি আমার টাকা না থাকলে আমায় ছেড়ে চলে যাবে। তাই আমি মরে গেলাম। সবাই ভালো থাকো।”
“আমি শেষ চেষ্টা করছি, পারিনি। সব টাকা শেষ। তাই বেঁচে থেকে লাভ নাই। তুমি আমায় বিশ্বাস করলা না, তাই একাজ করছি। সবাই বলে আমি খারাপ। যেই বাসায় ভাড়া থাকি তারাও বলে আমি চোর। আমি আর নিতে পারিনি।”
“আমার বাবায় বলে আমার কথা হয় না। আমার বাবায় বলে আমি কি করব।”
রক্ত দিয়ে তিনি শেষ পৃষ্ঠায় লিখে যান— “আম্মা”।
এরপর তিনি লেখেন— “তাই মারা গেলাম। সবাই ভালো থাকবেন।”
পুলিশ জানায়, লোকমান পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের জাকির সরদারের ছেলে। তিনি পাখিমারা বাজারে দরজি দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।