স্ত্রী যন্ত্রণা সইতে না পেরে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

- আপডেট সময় : ৬০ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর যন্ত্রণা ও দাম্পত্য কলহ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন লোকমান সরদার (৩২) নামের এক দরজি দোকানি। গত শনিবার রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারসংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত্যুর আগে লোকমান তিন পৃষ্ঠার একটি চিরকুট লিখে যান। সেখানে তিনি আত্মহত্যার জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে উল্লেখ করেন—
“আমার বউ আমার মরার দায়ি। কারণ সে টাকা-টাকা করতো। আর আমার কথা শুনতো না। আমায় মিথ্যা ভালোবাসতো, আমি তা জানতাম। আমার সাথে ধরা পড়ছে, তা শাশুড়িও জানতো আরও অনেকে জানে। তাই আমি বুঝে গেছি আমার টাকা না থাকলে আমায় ছেড়ে চলে যাবে। তাই আমি মরে গেলাম। সবাই ভালো থাকো।”
“আমি শেষ চেষ্টা করছি, পারিনি। সব টাকা শেষ। তাই বেঁচে থেকে লাভ নাই। তুমি আমায় বিশ্বাস করলা না, তাই একাজ করছি। সবাই বলে আমি খারাপ। যেই বাসায় ভাড়া থাকি তারাও বলে আমি চোর। আমি আর নিতে পারিনি।”
“আমার বাবায় বলে আমার কথা হয় না। আমার বাবায় বলে আমি কি করব।”
রক্ত দিয়ে তিনি শেষ পৃষ্ঠায় লিখে যান— “আম্মা”।
এরপর তিনি লেখেন— “তাই মারা গেলাম। সবাই ভালো থাকবেন।”
পুলিশ জানায়, লোকমান পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের জাকির সরদারের ছেলে। তিনি পাখিমারা বাজারে দরজি দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।