ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

হাতবদলে প্রতি ডিমে বাড়ে ১টাকা: ভোক্তার ডিজি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণায় বলা হয়, প্রতিটি ডিম উৎপাদন খরচ পড়ে ১০ টাকা ৮৮ পয়সা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম অনেক বেশি। ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে বিপণন সংশ্লিষ্ট লোকজন জড়িত।

এক ট্রাক ডিম কমপক্ষে তিনবার হাত বদল হবার কারণে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমন চিত্র ওঠে এসেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পর্যালোচনায়। অধিদপ্তরের অভিযান কালে দেখতে পেয়েছে, একই ট্রাকে ডিম তিন বার হাত বদলের কারণে প্রতিটি ডিমের মূল্য গড়ে প্রায় ১ টাকা বেড়ে যাচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

সম্প্রতি ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালানোর কারণে ডিমের অস্বাভাবিক পর্যায়ে আসলেও এআকে স্বাভাবিক আচরণ বলে চিহ্নিত করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

কাওরান বাজার অধিদপ্তরে মঙ্গলবার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকা ভাউচার ছাড়া ডিমের কোন লেনদেন হবে না। পাকা ভাউচার পাওয়া গেলে আমরা ট্র্যাক করতে পারবো ডিমের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য কত এবং কত লাভ করা হয়েছে। এখন অভিযান পরিচালনাকালে পাকা ভাউচার না পাওয়া গেলে, ডিম বিক্রর কারসাজির সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মাহমুদুল হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আরমান হায়দার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শরিফুল হক,

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সহকারী পরিচালক নুর উদ্দিন যোবায়ের, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হারুন অর রশিদ, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহমেদ একরামুল্লাহ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাতবদলে প্রতি ডিমে বাড়ে ১টাকা: ভোক্তার ডিজি

আপডেট সময় : ১২:১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণায় বলা হয়, প্রতিটি ডিম উৎপাদন খরচ পড়ে ১০ টাকা ৮৮ পয়সা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম অনেক বেশি। ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে বিপণন সংশ্লিষ্ট লোকজন জড়িত।

এক ট্রাক ডিম কমপক্ষে তিনবার হাত বদল হবার কারণে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমন চিত্র ওঠে এসেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পর্যালোচনায়। অধিদপ্তরের অভিযান কালে দেখতে পেয়েছে, একই ট্রাকে ডিম তিন বার হাত বদলের কারণে প্রতিটি ডিমের মূল্য গড়ে প্রায় ১ টাকা বেড়ে যাচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

সম্প্রতি ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালানোর কারণে ডিমের অস্বাভাবিক পর্যায়ে আসলেও এআকে স্বাভাবিক আচরণ বলে চিহ্নিত করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

কাওরান বাজার অধিদপ্তরে মঙ্গলবার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকা ভাউচার ছাড়া ডিমের কোন লেনদেন হবে না। পাকা ভাউচার পাওয়া গেলে আমরা ট্র্যাক করতে পারবো ডিমের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য কত এবং কত লাভ করা হয়েছে। এখন অভিযান পরিচালনাকালে পাকা ভাউচার না পাওয়া গেলে, ডিম বিক্রর কারসাজির সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মাহমুদুল হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আরমান হায়দার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শরিফুল হক,

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সহকারী পরিচালক নুর উদ্দিন যোবায়ের, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হারুন অর রশিদ, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহমেদ একরামুল্লাহ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার প্রমুখ।