ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ, মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

এই আইনজীবী জানান, বুধবার (১৪ আগস্ট) অভিযোগ দায়ের করেছি এবং নিবন্ধিত হয়েছে (যার নম্বর ১২৭/২০২৪)। এ মামলাটির রেকর্ডের পরে তদন্ত সংস্থা একটি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের তরফে বুধবার আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। প্রাথমিক কাজ হিসেবে ঘটনাকালীন সময়ের পত্রিকা সেগুলো সংগ্রহ করেছে এবং পর্যালোচনা করছে।

আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অপরাধ।

আসামিরা হচ্ছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য।

র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ ও কতিপয় অসাধু র‌্যাব কর্মকর্তা ও সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ০২:০০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

 

পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ, মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

এই আইনজীবী জানান, বুধবার (১৪ আগস্ট) অভিযোগ দায়ের করেছি এবং নিবন্ধিত হয়েছে (যার নম্বর ১২৭/২০২৪)। এ মামলাটির রেকর্ডের পরে তদন্ত সংস্থা একটি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের তরফে বুধবার আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। প্রাথমিক কাজ হিসেবে ঘটনাকালীন সময়ের পত্রিকা সেগুলো সংগ্রহ করেছে এবং পর্যালোচনা করছে।

আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অপরাধ।

আসামিরা হচ্ছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য।

র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ ও কতিপয় অসাধু র‌্যাব কর্মকর্তা ও সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহ।