ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হিন্দুদের উদ্দেশে কাদের, ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ ২৯৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু ওবায়দুল কাদের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বলেন, আওয়ামী ওবায়দুল কাদের।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা মন-মানসিকতায় যদি ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে (হীনমন্যতা) ভোগেন, মাইনোরিটি ভাবনাটাই একটা দাসত্বের শিকল, এই দাসত্বের শিকল ভেঙে ফেলতে হবে।

মুসলমানের ভোটের চেয়ে আপনার ভোটের কি মূল্য কম? কোনো পার্থক্য আছে কি? তাহলে কেন নিজেকে মাইনোরিটি ভাববেন? তিনি বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের পাশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কারো অবদান কম নয়।

শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সনাতন ধর্মালম্বীদের সম্পদ, ধর্মীয় মন্দির এই সব স্পর্শকাতর বিষয়ে তাদের মনে কষ্ট দেন, মন ভেঙে ফেলেন, এই সব লোক রাজনৈতিক পরিচয়ে থাকেও তাদের আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত।

এরাই হিন্দুদের বাড়ি দখল করে, মন্দির ভাঙচুর করে। এরা আমাদের সকলের অভিন্ন শত্রু। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই বাংলাদেশে ’৭৫ থেকে একুশ বছর কারা শাসন করেছিল? এই একুশ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে যে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা করে সমাধান করা যায়নি। সম্পর্ক যদি ভালো থাকে তাহলে আলোচনার টেবিলে যেকোন জটিল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সমাধান করতে পারি। যেমন সীমান্ত সমস্যা বাস্তবায়ন, সিটমহল বাস্তবায়ন।

কাদের বলেন, সম্পর্ক ভালো বলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করে ৬৮ বছরের সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে। আমি এই কৃতিত্ব দেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিকে।

দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস সন্দেহের দেয়াল তারা ভেঙে দিয়েছেন। অবিশ্বাস, সন্দেহের দেয়াল রেখে কোনো কিছু সমাধান সম্ভব নয়। আজকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে, গঙ্গা চুক্তিও আমরা করেছি। তিস্তা নদী নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, এর সমামাধান অবশ্যই হবে। গায়ে পরে তিক্ততা সৃষ্টি করে সমাধান সম্ভব নয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হিন্দুদের উদ্দেশে কাদের, ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

 

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু ওবায়দুল কাদের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বলেন, আওয়ামী ওবায়দুল কাদের।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা মন-মানসিকতায় যদি ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে (হীনমন্যতা) ভোগেন, মাইনোরিটি ভাবনাটাই একটা দাসত্বের শিকল, এই দাসত্বের শিকল ভেঙে ফেলতে হবে।

মুসলমানের ভোটের চেয়ে আপনার ভোটের কি মূল্য কম? কোনো পার্থক্য আছে কি? তাহলে কেন নিজেকে মাইনোরিটি ভাববেন? তিনি বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের পাশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কারো অবদান কম নয়।

শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সনাতন ধর্মালম্বীদের সম্পদ, ধর্মীয় মন্দির এই সব স্পর্শকাতর বিষয়ে তাদের মনে কষ্ট দেন, মন ভেঙে ফেলেন, এই সব লোক রাজনৈতিক পরিচয়ে থাকেও তাদের আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত।

এরাই হিন্দুদের বাড়ি দখল করে, মন্দির ভাঙচুর করে। এরা আমাদের সকলের অভিন্ন শত্রু। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই বাংলাদেশে ’৭৫ থেকে একুশ বছর কারা শাসন করেছিল? এই একুশ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে যে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা করে সমাধান করা যায়নি। সম্পর্ক যদি ভালো থাকে তাহলে আলোচনার টেবিলে যেকোন জটিল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সমাধান করতে পারি। যেমন সীমান্ত সমস্যা বাস্তবায়ন, সিটমহল বাস্তবায়ন।

কাদের বলেন, সম্পর্ক ভালো বলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করে ৬৮ বছরের সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে। আমি এই কৃতিত্ব দেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিকে।

দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস সন্দেহের দেয়াল তারা ভেঙে দিয়েছেন। অবিশ্বাস, সন্দেহের দেয়াল রেখে কোনো কিছু সমাধান সম্ভব নয়। আজকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে, গঙ্গা চুক্তিও আমরা করেছি। তিস্তা নদী নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, এর সমামাধান অবশ্যই হবে। গায়ে পরে তিক্ততা সৃষ্টি করে সমাধান সম্ভব নয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।