১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস
- আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
১৬ই ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশ উদযাপন করবে ৫৩তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয়, জয়বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে।
বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন ১৬ ডিসেম্বর। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এদিন মনব ঢল নামবে ঢাকার অদূরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এদিন সকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মেহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্বস্তরের মনুষের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
রাজনৈতিক, সামজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিক ছাড়াও ঢাকা সফরে থাকা পূর্ব-তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা ৭১-র বীর শহীদদের পুষ্পার্ঘ অর্পন করে শ্রদ্ধা জানাবেন। তবে, মহান বিজয় দিবসের আওয়াম লীগের তরফে কোন কর্মসূচির কথা জানা যায়নি। শনিবার ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেও দলটির কোন কর্মসূচি ছিলো না। এমন কি কোন বিজ্ঞাপ্তি দেওয়া হয়নি দলের তরফে।
বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।