১৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচলো ভারতের
- আপডেট সময় : ০৮:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে
হার্দিক পান্ডিয়া শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে পেরেক ঠুকলেন ডেভিড মিলারকে ফিরিয়ে। এমন কিছুর পর অতি আনন্দে পাথর হয়ে যাওয়াটা অমূলক নয়। ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়, যিনি আবেগের উর্ধ্বে, সেই তিনিও জয়ের পর খুশিতে আত্মহারা। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তো ফিল্ডিং পজিশনেই মাথা নুয়ে শুয়ে পড়লেন। যেন দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। কপিল দেব ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো তৃতীয় অধিনায়ক এখন তিনি।
শেষ ওভারে ভারতকে জিততে ১৬ রান আটকাতে হতো। হার্দিক ৮ রানে তুলে নেন দুই উইকেট। শেষ ওভারে এই পেসারে দুর্দান্ত বলে ১৭ বছরের আক্ষেপ দূর করলো ভারত। প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো ভারত।
গত এক বছরে আইসিসির তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেললো ভারত। আগের দুইবারের মতো এবারও শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার গল্পই লিখতে হতো। এর আগে খুব কাছে গিয়েও ট্রফি ছুঁতে পারছিলেন না রোহিত-বিরাট কোহলিরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও হেরেছিল ভারত।
এবার আরও একটি হারের মুখেই ছিল রোহিতের দল। ক্লাসেন ঝড়ের পর জয়ের সুবাস পাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ডেথ ওভারে যশপ্রীত বুমরা ও হার্দিকের বোলিং এবং ডেভিড মিলারের নিশ্চিত ছক্কা সূর্যকুমার যেভাবে ক্যাচে পরিণত করলেন- তাতেই অপরাজিত থেকে ১১ বছরের ট্রফি খরা ঘুচালো ভারত।
শুধু ভারতেরই নয়, দ্রাবিড়ের অনেক আক্ষেপ, অতৃপ্তি ঘুচেছে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করেই ভারতের কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের অধ্যায় শেষ হলো। বলাই যায়, পয়েটিক জাস্টিস পেয়েছেন ভারতীয় কোচ ও কিংবদন্তি।
তৃতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলে দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলে ট্রফি ছোঁয়া হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার। শন পোলক, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, জ্যাক ক্যালিস, হ্যানসি ক্রনিয়ের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক কিংবদন্তিরা যা পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছিলেন এইডেন মারক্রাম। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে তুলে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে আবার নিজেদের চোকার্স নামটার সার্থকতা বজায় রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
শনিবার বারবাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে আগে ব্যাটিং করে ভারত। নিজের সেরা ইনিংসটি যেন ফাইনালের জন্যই তুলে রেখেছিলেন কোহলি। সেমিফাইনাল পর্যন্ত ১০.৭১ গড়ে ৭৫ রান করেছিলেন তিনি। বারবাডোসে দলের বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে খেলেছেন ৭৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। দলও পেয়েছে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের রেকর্ড সংগ্রহ। প্রোটিয়াদের জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো। কেন না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এত রান তাড়া করে সফল হওয়ার ইতিহাস নেই।