ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট Logo ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার Logo সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর বিধবা স্ত্রীর ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo তিতাসে মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা  Logo গোয়াল ঘরে দূর্বত্তরদের আগুন, ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ Logo ত্রিশালে মাদ্রাসার খেলার মাঠ দখল করে সবজি চাষ  Logo ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা Logo ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি ৭ নারী-পুরুষ

২০২৬ সালের  প্রথমার্ধে  বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন. ড. ইউনূস

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০২৬ সালের প্রমার্ধে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আভাস দিলেন, দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া ভাষণে এই বার্তা দিলেন ইউনূস। ড. ইউনূস বলেছেন, মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ দেন ইউনূস। ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি।

তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদেরকে যদি, আবার বলছি যদি, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

ভাষণে ড. ইউনূস নির্বাচন, গুম কমিশনের প্রতিবেদন, শ্বেতপত্র , ব্যাংকিং ব্যবস্থা, অর্থপাচার, ঐকমত্য কমিশন গঠন, সংস্কার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচনের সময় সম্পর্কে আভাস দেওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের নিয়ে আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, আমার একান্ত ইচ্ছা এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের তরুণ-তরুণী ভোটাররা শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোট দিয়ে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করুক। ড. ইউনূস বলেন, গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছে, তাদের সবার নাম ভোটার তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এটা একটা বড় কাজ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এখানে গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন পর এবার বহু তরুণ-তরুণী জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। অতীতে তাদের সে অধিকার ও আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।

তাই এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটদান একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। এই অভিজ্ঞতাকে মসৃণ করার সমস্ত আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও সব সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আহ্বান, সবাই মিলে আমরা যেন এই লক্ষ্য অর্জনে নানা প্রকার সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করি। ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে সবাই মিলে এমন একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে পারি যে স্থানীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে সব কেন্দ্রে প্রথমবারের ভোটাররা ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোটদান নিশ্চিত করবে।

এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, নতুন ভোটার ছাড়াও যাঁদের আগে থেকে ভোটার তালিকায় নাম থাকার কথা ছিল, তাঁরা ভোটার তালিকায় আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ মনোযোগ দিয়ে ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বের করে দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২০২৬ সালের  প্রথমার্ধে  বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন. ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

 

২০২৬ সালের প্রমার্ধে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আভাস দিলেন, দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া ভাষণে এই বার্তা দিলেন ইউনূস। ড. ইউনূস বলেছেন, মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ দেন ইউনূস। ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি।

তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদেরকে যদি, আবার বলছি যদি, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

ভাষণে ড. ইউনূস নির্বাচন, গুম কমিশনের প্রতিবেদন, শ্বেতপত্র , ব্যাংকিং ব্যবস্থা, অর্থপাচার, ঐকমত্য কমিশন গঠন, সংস্কার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচনের সময় সম্পর্কে আভাস দেওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের নিয়ে আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, আমার একান্ত ইচ্ছা এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের তরুণ-তরুণী ভোটাররা শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোট দিয়ে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করুক। ড. ইউনূস বলেন, গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছে, তাদের সবার নাম ভোটার তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এটা একটা বড় কাজ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এখানে গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন পর এবার বহু তরুণ-তরুণী জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। অতীতে তাদের সে অধিকার ও আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।

তাই এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটদান একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। এই অভিজ্ঞতাকে মসৃণ করার সমস্ত আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও সব সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আহ্বান, সবাই মিলে আমরা যেন এই লক্ষ্য অর্জনে নানা প্রকার সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করি। ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে সবাই মিলে এমন একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে পারি যে স্থানীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে সব কেন্দ্রে প্রথমবারের ভোটাররা ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোটদান নিশ্চিত করবে।

এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, নতুন ভোটার ছাড়াও যাঁদের আগে থেকে ভোটার তালিকায় নাম থাকার কথা ছিল, তাঁরা ভোটার তালিকায় আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ মনোযোগ দিয়ে ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বের করে দিতে হবে।