৩ মাস ২৬ দিনে কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
৩ মাস ২৬ দিনে কিশোরগঞ্জের দানবাক্সে পড়া টাকার পরিমণ ২৮ বস্তা। শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে। এরপর এক এক করে ২৮টি বস্তায় টাকাগুলো ভরা হয়। এখন চলছে গণনা।
চলতি বছরের ২০ এপ্রিল দানবাক্স খোলার পর আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ বস্তা টাকা। আশা করা যাচ্ছে, এবার টাকার পরিমাণও গতবারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় বিপুলসংখ্যক সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে।
সর্বশেষ চলতি বছর ২০ এপ্রিল ৯টি দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তায় রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া যায়।
গত বছর চারবার খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।
টাকা গণনাকাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন। গণনা শেষে জানা যাবে টাকার পরিমণ।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।