ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

৫৩ বছর পর কেশবপুরে ৫০ কোটি টাকার সরকারি ৭৫৬ শতক জমি উদ্ধার

খায়রুল আনাম, কেশবপুর (যশোর)
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন মধ্যকুল এলাকায় সরকারি ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ৭৫৬ শতক জমি, ৫৩ বছর পর ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে কেশবপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ, সঙ্গীয় জনবল নিয়ে জমির সীমানা নিদ্ধারণ শেষে জমির চারপাশে আরসিসি পিলার পুতে তার মাথায় লাল (রের্ড) কাপড় টাঙ্গিয়ে দিয়ে দখলে নেন।
যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন সরকারী মূল্যের ওই সম্পত্তি ৫৩ বছর ধরে মধ্যকুল গ্রামের ওদুদ খা ও তার পরিবারের সদস্যরা জবর দখল করে সেখানে মৎস্য ঘের ও ধান চাষ করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে। সরকারি ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করার পর, বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারী (২০২৪) তৎকালীন উপজেলা সহকারি কমিশার (ভুমি) ওই সম্পত্তি ছেড়ে দেয়ার জন্য অবৈধ দখলদার আয়ুব খানসহ ৪জনকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারী ওই জমি সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধরণ করার পর দখলে নেয়া হলেও, কয়েক দিনের মধ্যে ভূমি দস্যুরা আবার দখলে নেয়।

স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন মধ্যকুল এলাকায় অবস্থিত সরকারি ওই সম্পত্তি এর পূর্বেও দু’সফা উদ্ধারের জন্য তৎকালীন কেশবপুর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ শহিদুল ইসলাম ২ নভেম্বর (২০২৩) তারিখে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নোটিশ দেন। নোটিশে উপযুক্ত বিষয়ে সদয় অবগতিসহ উক্ত খাস জমি উদ্ধার এবং অবৈধ দখলদার মধ্যকুল গ্রামের ওদুদ খার ছেলে অয়ূব খানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনসহ ধান চাষ এবং মাছ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আলাদা ভাবে পত্র প্রেরন করেন। যার স্মারক নং-৩১৭৮। নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, মধ্যকুল গ্রামের ওদুদ খার ছেলে আয়ুব খান, সাবাজ সরদার, বদর উদ্দীন মোড়ল এবং মিজানুর রহমান। এছাড়া গত ৭/৮ বছর পূর্বেও স্থানীয় ভূমি অফিস ও যশোর সড়ক ও জনপথের উদ্যোগে এই সম্পত্তি ভূমি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে, সীমানা নির্ধারণ করার পর (জমির) চার পাশে আর সিসি পিলার পুতে তার মাথায় লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তিতে দুই মাস যেতে না যেতেই ভূমিদস্যুরা ওইসব সীমানা পিলার তুলে ফেলে আবার তারা সরকারি জমি দখলে নিয়ে সেখানে মৎস্য চাষ ও ধান চাষ করে আসছে। যার জমির খতিয়ান নং-১, দাগ নং- ৩৬৫৪, জমির পরিমান ৫০১ শতক এবং সড়ক ও জনপথের খতিয়ান নম্বর-৫. দাগ নং-৩৬৫৩, জমির পরিমান ৩৫৯ শতক। মোট ৮৬০ শতক। এরমধ্যে ১০৪ শতক জমিতে সড়ক নির্মান করা হয়েছে। আর বাকী ৭৫৬ শতক জমি দখলে নেয়া হয়েছে। যার এক এক শতক জমির বর্তমান মূল্য ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬০ সালে তৎকালীন সরকার কেশবপুর সদরের মধ্যকুলে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে ৮ একর ৮৬ শতক ভূমি অধিক গ্রহন করে সেখানে ইটের ভাটা নির্মান করে। যার আর এস দাগ নম্বর- ৩৬৫৩ ও ৩৬৫৪, খতিয়ান নম্বর-১ এবং ৫. বর্তমানে এসএ রেকর্ডও সড়ক ও জনপথের নামে এবং সরকারের ১নং খতিয়ানে আরএস রেকর্ড ৫০১ শতক জমি আলাদা ভাবে রেকর্ড রয়েছে। দর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যুরা সরকারী ওই জমিতে তাদের ইচ্ছেমত জমির শ্রেনী বদল করে সেখানে মাছের ঘেরসহ
ধান চাষ করে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে বর্তমানে ওই পরিবারটি কোটি কোটি টাকার মালিক বুনে গেছে।
পরবর্তিতে এই জায়গাটি পরিত্যক্ত হলে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকার ওদুদ খা, সরকারের ইটভাটার ওই ভূমির মধ্যে সিংহ ভাগই জমি নিজে জবর দখল করে নেয়। ওদুদ খার মৃত্যুর পর তার ছেলে আয়ুব খানগংরা ওই জমি দখলে রেখে ধান ও মাছ চাষ করে আসছে। গত ৫২ বছরেও সরকারি মূল্যবান সম্পত্তি উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দেয় স্থানীয় সর্ব মহলে। এরই মধ্যে এলাকাবাসী ওই জমি উদ্ধারের জন্য আবারও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে শুক্রবার ওই জমি সরকারি ভাবে আবার দখলে নেয়া হয়েছে।

বদরুদ্দীন মোড়ল ও সাবাজ সরদার বলেন, আমরা সামান্য ২০ শতক করে, জমিতে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি, আর সব জমি আয়ুব খানগংরা মাছের ঘের ও ধান চাষ করে আসছে। সহকারি কশিশনার ওই জমি দখলে নিয়েছেন। আমারও জমি ছেড়ে দিয়েছি। আয়ুব খান বলেন, সরকারি সম্পত্তি সরকার চাইলে ছেড়ে দেয়া হবে।
কেশবপুর পৌর ও সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে অবস্থিত সরকারী মুল্যবান ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আয়ুব খানসহ ৪ অবৈধ দখলদারকে নোটিশ দেয়ার পরও তারা জমি ছেড়ে না দেয়ায় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা সহকারি কমিশানর (ভূমি) এবং আমিসহ সরকারি আমিন দিয়ে জমি পরিমাপ করে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ বলেন, সরকারী জমি উদ্ধারের জন্য গত ১১/১১/২০২৪ তারিখে আয়ুব খান সহ অবৈধ দখলদারদের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারেকে নোটিশ করেন। যার স্মারক নম্বর- ১৩৫৭(২০) তাং- ১১/১১/২০২৪। এরপরও তারা জমি ছেড়ে না দেয়ায়, সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করে চারি পাশে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে ওই জমি কেউ দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৫৩ বছর পর কেশবপুরে ৫০ কোটি টাকার সরকারি ৭৫৬ শতক জমি উদ্ধার

আপডেট সময় : ০২:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন মধ্যকুল এলাকায় সরকারি ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ৭৫৬ শতক জমি, ৫৩ বছর পর ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে কেশবপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ, সঙ্গীয় জনবল নিয়ে জমির সীমানা নিদ্ধারণ শেষে জমির চারপাশে আরসিসি পিলার পুতে তার মাথায় লাল (রের্ড) কাপড় টাঙ্গিয়ে দিয়ে দখলে নেন।
যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন সরকারী মূল্যের ওই সম্পত্তি ৫৩ বছর ধরে মধ্যকুল গ্রামের ওদুদ খা ও তার পরিবারের সদস্যরা জবর দখল করে সেখানে মৎস্য ঘের ও ধান চাষ করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে। সরকারি ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করার পর, বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারী (২০২৪) তৎকালীন উপজেলা সহকারি কমিশার (ভুমি) ওই সম্পত্তি ছেড়ে দেয়ার জন্য অবৈধ দখলদার আয়ুব খানসহ ৪জনকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারী ওই জমি সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধরণ করার পর দখলে নেয়া হলেও, কয়েক দিনের মধ্যে ভূমি দস্যুরা আবার দখলে নেয়।

স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন মধ্যকুল এলাকায় অবস্থিত সরকারি ওই সম্পত্তি এর পূর্বেও দু’সফা উদ্ধারের জন্য তৎকালীন কেশবপুর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ শহিদুল ইসলাম ২ নভেম্বর (২০২৩) তারিখে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নোটিশ দেন। নোটিশে উপযুক্ত বিষয়ে সদয় অবগতিসহ উক্ত খাস জমি উদ্ধার এবং অবৈধ দখলদার মধ্যকুল গ্রামের ওদুদ খার ছেলে অয়ূব খানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনসহ ধান চাষ এবং মাছ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আলাদা ভাবে পত্র প্রেরন করেন। যার স্মারক নং-৩১৭৮। নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, মধ্যকুল গ্রামের ওদুদ খার ছেলে আয়ুব খান, সাবাজ সরদার, বদর উদ্দীন মোড়ল এবং মিজানুর রহমান। এছাড়া গত ৭/৮ বছর পূর্বেও স্থানীয় ভূমি অফিস ও যশোর সড়ক ও জনপথের উদ্যোগে এই সম্পত্তি ভূমি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে, সীমানা নির্ধারণ করার পর (জমির) চার পাশে আর সিসি পিলার পুতে তার মাথায় লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তিতে দুই মাস যেতে না যেতেই ভূমিদস্যুরা ওইসব সীমানা পিলার তুলে ফেলে আবার তারা সরকারি জমি দখলে নিয়ে সেখানে মৎস্য চাষ ও ধান চাষ করে আসছে। যার জমির খতিয়ান নং-১, দাগ নং- ৩৬৫৪, জমির পরিমান ৫০১ শতক এবং সড়ক ও জনপথের খতিয়ান নম্বর-৫. দাগ নং-৩৬৫৩, জমির পরিমান ৩৫৯ শতক। মোট ৮৬০ শতক। এরমধ্যে ১০৪ শতক জমিতে সড়ক নির্মান করা হয়েছে। আর বাকী ৭৫৬ শতক জমি দখলে নেয়া হয়েছে। যার এক এক শতক জমির বর্তমান মূল্য ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬০ সালে তৎকালীন সরকার কেশবপুর সদরের মধ্যকুলে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে ৮ একর ৮৬ শতক ভূমি অধিক গ্রহন করে সেখানে ইটের ভাটা নির্মান করে। যার আর এস দাগ নম্বর- ৩৬৫৩ ও ৩৬৫৪, খতিয়ান নম্বর-১ এবং ৫. বর্তমানে এসএ রেকর্ডও সড়ক ও জনপথের নামে এবং সরকারের ১নং খতিয়ানে আরএস রেকর্ড ৫০১ শতক জমি আলাদা ভাবে রেকর্ড রয়েছে। দর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যুরা সরকারী ওই জমিতে তাদের ইচ্ছেমত জমির শ্রেনী বদল করে সেখানে মাছের ঘেরসহ
ধান চাষ করে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে বর্তমানে ওই পরিবারটি কোটি কোটি টাকার মালিক বুনে গেছে।
পরবর্তিতে এই জায়গাটি পরিত্যক্ত হলে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকার ওদুদ খা, সরকারের ইটভাটার ওই ভূমির মধ্যে সিংহ ভাগই জমি নিজে জবর দখল করে নেয়। ওদুদ খার মৃত্যুর পর তার ছেলে আয়ুব খানগংরা ওই জমি দখলে রেখে ধান ও মাছ চাষ করে আসছে। গত ৫২ বছরেও সরকারি মূল্যবান সম্পত্তি উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দেয় স্থানীয় সর্ব মহলে। এরই মধ্যে এলাকাবাসী ওই জমি উদ্ধারের জন্য আবারও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে শুক্রবার ওই জমি সরকারি ভাবে আবার দখলে নেয়া হয়েছে।

বদরুদ্দীন মোড়ল ও সাবাজ সরদার বলেন, আমরা সামান্য ২০ শতক করে, জমিতে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি, আর সব জমি আয়ুব খানগংরা মাছের ঘের ও ধান চাষ করে আসছে। সহকারি কশিশনার ওই জমি দখলে নিয়েছেন। আমারও জমি ছেড়ে দিয়েছি। আয়ুব খান বলেন, সরকারি সম্পত্তি সরকার চাইলে ছেড়ে দেয়া হবে।
কেশবপুর পৌর ও সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে অবস্থিত সরকারী মুল্যবান ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আয়ুব খানসহ ৪ অবৈধ দখলদারকে নোটিশ দেয়ার পরও তারা জমি ছেড়ে না দেয়ায় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা সহকারি কমিশানর (ভূমি) এবং আমিসহ সরকারি আমিন দিয়ে জমি পরিমাপ করে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ বলেন, সরকারী জমি উদ্ধারের জন্য গত ১১/১১/২০২৪ তারিখে আয়ুব খান সহ অবৈধ দখলদারদের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারেকে নোটিশ করেন। যার স্মারক নম্বর- ১৩৫৭(২০) তাং- ১১/১১/২০২৪। এরপরও তারা জমি ছেড়ে না দেয়ায়, সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করে চারি পাশে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে ওই জমি কেউ দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।