ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন Logo পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ‘সংবিধানবিরোধী’, পুনর্বহালের দাবি নেপালের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের Logo গোলাপগঞ্জে রনি হত্যা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি Logo টাঙ্গাইলে সরু নদীতে বাল্কহেডের দাপাদাপিতে ভাঙছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি Logo ঝিনাইগাতীতে বালু পাচার, ইউএনওর কঠোর অবস্থান Logo দেওয়ানগঞ্জ শিক্ষার মান উন্নয়নে আলোচনা অনুষ্ঠিত Logo ধর্ষণ থেকে স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামী খুন, ঘাতক গ্রেপ্তার

৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়: একদিনের বৃষ্টিতেই মহাসড়কে ধ্বস

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

একদিনের বৃষ্টিতেই ৬৫০ কোটি টাকার সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে-এখন নয়।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থান। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গেছে।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে।

সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়: একদিনের বৃষ্টিতেই মহাসড়কে ধ্বস

আপডেট সময় :

 

একদিনের বৃষ্টিতেই ৬৫০ কোটি টাকার সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে-এখন নয়।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থান। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গেছে।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে।

সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।