ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট Logo ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার Logo সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর বিধবা স্ত্রীর ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo তিতাসে মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা  Logo গোয়াল ঘরে দূর্বত্তরদের আগুন, ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ Logo ত্রিশালে মাদ্রাসার খেলার মাঠ দখল করে সবজি চাষ  Logo ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা Logo ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি ৭ নারী-পুরুষ

৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়: একদিনের বৃষ্টিতেই মহাসড়কে ধ্বস

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ২৭২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

একদিনের বৃষ্টিতেই ৬৫০ কোটি টাকার সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে-এখন নয়।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থান। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গেছে।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে।

সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়: একদিনের বৃষ্টিতেই মহাসড়কে ধ্বস

আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

 

একদিনের বৃষ্টিতেই ৬৫০ কোটি টাকার সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে-এখন নয়।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থান। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গেছে।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে।

সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।