ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo দিনাজপুরে পুষ্টির সচেতনতামূলক বৃদ্ধিকরন নিয়ে কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

রামগতিতে রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে বালুর স্তুপ!

৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর 

জহির, রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন পাটোয়ারী তেমুহনী থেকে ভাই ভাই তেমুহনী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার প্রধান সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বালুর স্তুপ। স্থানীয় প্রভাবশালী সালাহ উদ্দীন, সাহাব উদ্দীন, মাঈন উদ্দীন ও এরশাদ সহ অন্তত ১০ জন বালু ব্যবসায়ী রয়েছে। বছরের পর বছর বালুর স্তুপ দেওয়ার ফলে স্থানীয়দের সর্দি,কাশি এবং শাসকষ্ঠসহ চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।পাশাপাশি  সেবাগ্রাম ডাকঘর ও ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বালুর স্তুপ দেওয়ায়  দীর্ঘ ৮ মাস ধরে অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে দুইটি প্রতিষ্ঠান ।
চরম ভোগান্তিতে স্কুলে পাঠদান চললেও ডাকঘরটির অবস্থা ভয়াবহ। ডাকঘরের পিছনে মেঘনা নদী। সামনে আলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়ক,আর মাঝখানে বালুর স্তুপ। প্রতিনিয়ত ঘটেছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। অভিযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। যথাযথভাবে বালু  সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় এবং লাইসেন্স বিহীন  বলি ট্রাক্টরে বহন করা  বালু বাতাসে উড়ে পথচারীর চোখে মুখে পড়ে প্রতিনিহিত বাড়ছে দুর্ঘটনা। মূল সড়কের ওপর বালু পড়ে সেগুলো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দ্রুত সড়ক থেকে বালুর স্তূপ সরানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে নদী ভাঙার কারণে এ উপজেলায় বালু মহলের অনুমোদন না থাকলেও রামগতি পৌরসভার থেকে ৩০০ টাকার একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চালাচ্ছে কোটি কোটি টাকার    বালুর ব্যবসা। স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে বালু রাখার কারণে গাড়ি চলাচলের সময় বালু উড়ছে। একটু ঝড় বাতাস হলে অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠে। এর ফলে সড়কে চলাচলের পাশাপাশি আশেপাশের বসতবাড়িতে বসবাস করাটাই এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এদিকে সেবাগ্রাম ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।পথচারী মোঃ মিলন বলেন,রাস্তার  পাশে বালু থাকায় চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। বালু উড়ে চোখে মুখে পড়ছে। একই মতামত জানালেন ওই এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া বেগম। তিনি জানান বাতাসের সাথে বালু উড়ে বাড়ি ঘরে ঠুকে পড়ে। স্থানীয় দোকানদার ফারুক বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।বালু ব্যবসয়ী এরশাদুল ইসলাম ও মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন,এখানে অনেকগুলো বালু ব্যবসায়ী আছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সতর্ক আছি। রাস্তায় কোন স্তুপ দেওয়া হয়নি। অন্যদের দায় আমরা নিবো কেন?।
সেবাগ্রাম ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার বিবি হালিমা বলেন,বালু ব্যবসায়ীদের সাথে এ নিয়ে আমার  কয়েকবার বাকবিতন্ডা হয়েছে। বালুর স্তুপের কারণে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখতে হয়। আসা যাওয়ার পথ বন্ধ। বালুর কারণে অফিসে বসাও যাচ্ছেনা। ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বালুর যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ।    শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছেনা। হালকা বাতাসে বালু উড়ে চোখে মুখে পড়ে। আমরা প্রশাসনকে কয়েকবার জানিয়েছি।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে সড়কের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়ক দখল করে বালুর স্তূপ রাখার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামগতিতে রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে বালুর স্তুপ!

৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর 

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন পাটোয়ারী তেমুহনী থেকে ভাই ভাই তেমুহনী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার প্রধান সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বালুর স্তুপ। স্থানীয় প্রভাবশালী সালাহ উদ্দীন, সাহাব উদ্দীন, মাঈন উদ্দীন ও এরশাদ সহ অন্তত ১০ জন বালু ব্যবসায়ী রয়েছে। বছরের পর বছর বালুর স্তুপ দেওয়ার ফলে স্থানীয়দের সর্দি,কাশি এবং শাসকষ্ঠসহ চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।পাশাপাশি  সেবাগ্রাম ডাকঘর ও ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বালুর স্তুপ দেওয়ায়  দীর্ঘ ৮ মাস ধরে অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে দুইটি প্রতিষ্ঠান ।
চরম ভোগান্তিতে স্কুলে পাঠদান চললেও ডাকঘরটির অবস্থা ভয়াবহ। ডাকঘরের পিছনে মেঘনা নদী। সামনে আলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়ক,আর মাঝখানে বালুর স্তুপ। প্রতিনিয়ত ঘটেছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। অভিযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। যথাযথভাবে বালু  সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় এবং লাইসেন্স বিহীন  বলি ট্রাক্টরে বহন করা  বালু বাতাসে উড়ে পথচারীর চোখে মুখে পড়ে প্রতিনিহিত বাড়ছে দুর্ঘটনা। মূল সড়কের ওপর বালু পড়ে সেগুলো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দ্রুত সড়ক থেকে বালুর স্তূপ সরানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে নদী ভাঙার কারণে এ উপজেলায় বালু মহলের অনুমোদন না থাকলেও রামগতি পৌরসভার থেকে ৩০০ টাকার একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চালাচ্ছে কোটি কোটি টাকার    বালুর ব্যবসা। স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে বালু রাখার কারণে গাড়ি চলাচলের সময় বালু উড়ছে। একটু ঝড় বাতাস হলে অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠে। এর ফলে সড়কে চলাচলের পাশাপাশি আশেপাশের বসতবাড়িতে বসবাস করাটাই এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এদিকে সেবাগ্রাম ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।পথচারী মোঃ মিলন বলেন,রাস্তার  পাশে বালু থাকায় চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। বালু উড়ে চোখে মুখে পড়ছে। একই মতামত জানালেন ওই এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া বেগম। তিনি জানান বাতাসের সাথে বালু উড়ে বাড়ি ঘরে ঠুকে পড়ে। স্থানীয় দোকানদার ফারুক বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।বালু ব্যবসয়ী এরশাদুল ইসলাম ও মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন,এখানে অনেকগুলো বালু ব্যবসায়ী আছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সতর্ক আছি। রাস্তায় কোন স্তুপ দেওয়া হয়নি। অন্যদের দায় আমরা নিবো কেন?।
সেবাগ্রাম ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার বিবি হালিমা বলেন,বালু ব্যবসায়ীদের সাথে এ নিয়ে আমার  কয়েকবার বাকবিতন্ডা হয়েছে। বালুর স্তুপের কারণে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখতে হয়। আসা যাওয়ার পথ বন্ধ। বালুর কারণে অফিসে বসাও যাচ্ছেনা। ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বালুর যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ।    শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছেনা। হালকা বাতাসে বালু উড়ে চোখে মুখে পড়ে। আমরা প্রশাসনকে কয়েকবার জানিয়েছি।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে সড়কের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়ক দখল করে বালুর স্তূপ রাখার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।