ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

কাশিমপুরে পুলিশের সংকট

৮ লাখ মানুষের নিরাপত্তায় দায়িত্বে মাত্র ৬৩ জন

লাবণী আক্তার, কাশিমপুর (গাজীপুর)
  • আপডেট সময় : ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানায় বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৬৩ জন পুলিশ সদস্য। অথচ এ থানার আওতায় বসবাস করছেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। ফলে একজন পুলিশ সদস্যকে গড়ে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।
২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। দেশের সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশন হিসেবে পরিচিত এই শিল্পনগরীতে শত শত উৎপাদনমুখী কারখানায় কাজ করেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। এর বাইরে আরও বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করেন এখানে।
আয়তনের দিক থেকে বড় হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। পুরো জিএমপিতে মাত্র ১ হাজার ৭৬৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি থানার মধ্যে কাশিমপুরকে ধরা হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত স্থানীয়দের অভিযোগ, জিএমপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংঘটিত ডাকাতি ও দস্যুতার বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে কাশিমপুরে। এমনকি থানার ২০০ গজের মধ্যেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া মাদক ব্যবসার জন্য কুখ্যাত কয়েকটি এলাকার নাম উঠে আসে—বাড়েন্ডার জামাইপট্রি, রওশন মার্কেট, নয়াপাড়া, সুরাবাড়ী, এনায়েতপুর সবুজ কানন, লতিফপুর, সারদাগঞ্জ, মাধবপুর, বেক্সিমকো গেইট, লোহাকৈর ও গোবিন্দবাড়ী।
অপরাধের তালিকায় রয়েছে মাদক ব্যবসা, অনলাইন ক্যাসিনো, জুয়া, জমি দখল, চাঁদাবাজি, খুন ও অপহরণের মতো গুরুতর ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, মাদকসেবীরাই নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় বাড়ি নির্মাণের মতো কাজেও প্রভাবশালীরা চাঁদা দাবি করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে গেলেও ভয়ে অনেকে এগোতে পারেন না।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর প্রভাবশালী ও অন্যায়কারীদের মুখ পরিবর্তন হলেও পরিস্থিতি একই রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা জানান, আগের সরকারের দলীয় নেতাদের মতোই এখনো নতুন প্রভাবশালীদের ভয়ে বসবাস করতে হয়। থানায় মামলা নিয়ন্ত্রণ ও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগও শোনা যাচ্ছে।
কাশিমপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসান বলেন,
কাশিমপুরের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের চাইতে টহল বাড়ানো হয়েছে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোকে শিগগিরই সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিকদের শঙ্কা অনেকটাই হ্রাস পাবে।”
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন সীমিত সংখ্যক সদস্য দিয়ে বিশাল জনসংখ্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হলেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মাদক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম রোধে টহল বাড়ানো হয়েছে। কমিশনার স্যারের নির্দেশনা মেনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাশিমপুরে পুলিশের সংকট

৮ লাখ মানুষের নিরাপত্তায় দায়িত্বে মাত্র ৬৩ জন

আপডেট সময় :

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানায় বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৬৩ জন পুলিশ সদস্য। অথচ এ থানার আওতায় বসবাস করছেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। ফলে একজন পুলিশ সদস্যকে গড়ে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।
২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। দেশের সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশন হিসেবে পরিচিত এই শিল্পনগরীতে শত শত উৎপাদনমুখী কারখানায় কাজ করেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। এর বাইরে আরও বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করেন এখানে।
আয়তনের দিক থেকে বড় হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। পুরো জিএমপিতে মাত্র ১ হাজার ৭৬৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি থানার মধ্যে কাশিমপুরকে ধরা হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত স্থানীয়দের অভিযোগ, জিএমপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংঘটিত ডাকাতি ও দস্যুতার বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে কাশিমপুরে। এমনকি থানার ২০০ গজের মধ্যেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া মাদক ব্যবসার জন্য কুখ্যাত কয়েকটি এলাকার নাম উঠে আসে—বাড়েন্ডার জামাইপট্রি, রওশন মার্কেট, নয়াপাড়া, সুরাবাড়ী, এনায়েতপুর সবুজ কানন, লতিফপুর, সারদাগঞ্জ, মাধবপুর, বেক্সিমকো গেইট, লোহাকৈর ও গোবিন্দবাড়ী।
অপরাধের তালিকায় রয়েছে মাদক ব্যবসা, অনলাইন ক্যাসিনো, জুয়া, জমি দখল, চাঁদাবাজি, খুন ও অপহরণের মতো গুরুতর ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, মাদকসেবীরাই নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় বাড়ি নির্মাণের মতো কাজেও প্রভাবশালীরা চাঁদা দাবি করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে গেলেও ভয়ে অনেকে এগোতে পারেন না।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর প্রভাবশালী ও অন্যায়কারীদের মুখ পরিবর্তন হলেও পরিস্থিতি একই রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা জানান, আগের সরকারের দলীয় নেতাদের মতোই এখনো নতুন প্রভাবশালীদের ভয়ে বসবাস করতে হয়। থানায় মামলা নিয়ন্ত্রণ ও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগও শোনা যাচ্ছে।
কাশিমপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসান বলেন,
কাশিমপুরের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের চাইতে টহল বাড়ানো হয়েছে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোকে শিগগিরই সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিকদের শঙ্কা অনেকটাই হ্রাস পাবে।”
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন সীমিত সংখ্যক সদস্য দিয়ে বিশাল জনসংখ্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হলেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মাদক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম রোধে টহল বাড়ানো হয়েছে। কমিশনার স্যারের নির্দেশনা মেনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।