ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশী ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চল‌তি বছরের ডিসেম্বর থেকে চীন বাংলাদেশকে ১০০ শতাংশ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চীনা দূতাবাস এই তথ্য জা‌নিয়েছে।

 

ঢাকায় চীনা দূতাবাস ওই বিবৃতিতে জানায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত ৫ সেপ্টেম্বর চীন-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার ৩৩টি দেশসহ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার এ ঘোষণা দেন।

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ট্যারিফ কোটা ব্যবস্থাপনার আওতাধীন সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। কোটার পরিমাণ অতিক্রম করা পণ্যের ক্ষেত্রে মূল শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে।

১৯৭৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। একই দিনে বাংলাদেশের জন্য এই বাণিজ্য সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে চীন।

২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন ছিল বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ কেবল ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, বাকিটা করেছে চীন।

২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল; ২০২০ সালে যা ছিল ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে।

এদিকে চলতি বছরের ২৮ মার্চ সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে খসড়া যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন হস্তান্তর’ উপলক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ করার আশা প্রকাশ করেন।

চীনা দূত সেদিন বলেন, “অনেক বাংলাদেশি আমাকে প্রশ্ন করেন যে, চীন কেন বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী। এর দুইটা কারণ। দুই দেশ একই সঙ্গে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে চাই এবং নির্বিঘ্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই। দ্বিতীয়ত, আমরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।”

বাংলাদেশ এলডিসি থেকে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি থেকে কোনো দেশের উত্তরণ ঘটলে সেই দেশ আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরো তিন বছর ওই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

চল‌তি বছরের ডিসেম্বর থেকে চীন বাংলাদেশকে ১০০ শতাংশ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চীনা দূতাবাস এই তথ্য জা‌নিয়েছে।

 

ঢাকায় চীনা দূতাবাস ওই বিবৃতিতে জানায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত ৫ সেপ্টেম্বর চীন-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার ৩৩টি দেশসহ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার এ ঘোষণা দেন।

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ট্যারিফ কোটা ব্যবস্থাপনার আওতাধীন সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। কোটার পরিমাণ অতিক্রম করা পণ্যের ক্ষেত্রে মূল শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে।

১৯৭৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। একই দিনে বাংলাদেশের জন্য এই বাণিজ্য সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে চীন।

২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন ছিল বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ কেবল ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, বাকিটা করেছে চীন।

২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল; ২০২০ সালে যা ছিল ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে।

এদিকে চলতি বছরের ২৮ মার্চ সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে খসড়া যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন হস্তান্তর’ উপলক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ করার আশা প্রকাশ করেন।

চীনা দূত সেদিন বলেন, “অনেক বাংলাদেশি আমাকে প্রশ্ন করেন যে, চীন কেন বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী। এর দুইটা কারণ। দুই দেশ একই সঙ্গে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে চাই এবং নির্বিঘ্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই। দ্বিতীয়ত, আমরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।”

বাংলাদেশ এলডিসি থেকে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি থেকে কোনো দেশের উত্তরণ ঘটলে সেই দেশ আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরো তিন বছর ওই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।