ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনতার বিক্ষোভে পুলিশ অবরুদ্ধ Logo পাথরঘাটায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আন্দোলন Logo সাভারে বাবাকে হত্যার পর মেয়ের আত্মসমর্পণ Logo বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৪ প্যাকেট মাংস উদ্ধার Logo সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অ্যালকোহল পানে দু’জনের মৃত্যু Logo ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য নওগাঁর রোগীদের কাছে দিনদিন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে Logo ভারতীয় হামলার কঠোর জবাব দিলো পাকিস্তান Logo খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা, রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ Logo কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি শাহজাদপুরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo মানবিক করিডোরের চেয়ে রাখাইনে সেফ জোন করলে  রোহিঙ্গা সংকট কাটবে

আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কারে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ও অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। কমিশনে লেখক ও আইন পেশার আরও আটজনকে সদস্য করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও মুহাম্মদ ইকরামুল হক, বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী, সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া, বার-এট-ল এম মাঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে মো. মাহফুজ আলমকে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে সংবিধান সংস্কার কমিশন নামে কমিশন গঠন করল।

কমিশন ৬ অক্টোবর ২০২৪ থেকে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।
কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন-সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

তবে শর্ত থাকে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ ও কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কারে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন

আপডেট সময় : ১০:১২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

 

সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ও অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। কমিশনে লেখক ও আইন পেশার আরও আটজনকে সদস্য করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও মুহাম্মদ ইকরামুল হক, বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী, সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া, বার-এট-ল এম মাঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে মো. মাহফুজ আলমকে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে সংবিধান সংস্কার কমিশন নামে কমিশন গঠন করল।

কমিশন ৬ অক্টোবর ২০২৪ থেকে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।
কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন-সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

তবে শর্ত থাকে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ ও কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।