ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধুনিক কেবিন ব্লক ও দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা Logo গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক Logo কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির আস্থা লুৎফুর রহমান কাজল Logo উখিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুর সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত Logo কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ Logo যশোরে তরিকুল ইসলাম স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল Logo সাদুল্লাপুরে হলুদক্ষেতে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

১ বছর নয়, ২ মাস ১৭ দিনের মাথায় চালু হচ্ছে মেট্রোর মিরপুর-১০ স্টেশন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ২৬০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২ মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর স্টেশনটি মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কত টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি চালু হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

এর আগে পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কাজীপাড়া ও ১০ নম্বর স্টেশন চালু করতে ৩৫০ কোটি টাকা এবং সময় লাগবে ১ বছর। অথচ মাত্র ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন চালু করা হয়।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার দিয়াবাড়িতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রশাসনিক ভবনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এ ঘোষণা মঙ্গলবার থেকে চালুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রো স্টেশনটি পুনরায় চালু হচ্ছে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চালু হচ্ছে। তাতে খরচের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে, তাই এখনই খরচ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আবদুর রউফ জানিয়েছিলেন, কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে মিরপুর-১০ স্টেশনে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এর মেরামত খরচ আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে, কাজীপাড়া স্টেশনটি স্বল্প খরচে মেরামত করে ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় চালু করা হয়। এখন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মিরপুর-১০ স্টেশনও যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। স্টেশনগুলোর টিকিট ভেন্ডিং মেশিন এবং যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ দুই স্টেশনই বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১ বছর নয়, ২ মাস ১৭ দিনের মাথায় চালু হচ্ছে মেট্রোর মিরপুর-১০ স্টেশন

আপডেট সময় :

 

২ মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর স্টেশনটি মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কত টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি চালু হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

এর আগে পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কাজীপাড়া ও ১০ নম্বর স্টেশন চালু করতে ৩৫০ কোটি টাকা এবং সময় লাগবে ১ বছর। অথচ মাত্র ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন চালু করা হয়।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার দিয়াবাড়িতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রশাসনিক ভবনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এ ঘোষণা মঙ্গলবার থেকে চালুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রো স্টেশনটি পুনরায় চালু হচ্ছে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চালু হচ্ছে। তাতে খরচের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে, তাই এখনই খরচ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আবদুর রউফ জানিয়েছিলেন, কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে মিরপুর-১০ স্টেশনে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এর মেরামত খরচ আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে, কাজীপাড়া স্টেশনটি স্বল্প খরচে মেরামত করে ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় চালু করা হয়। এখন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মিরপুর-১০ স্টেশনও যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। স্টেশনগুলোর টিকিট ভেন্ডিং মেশিন এবং যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ দুই স্টেশনই বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।