ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীতে ডুবে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা পাহাড়ে বেড়াতে এসে ভোগাই নদীর পানিতে ডুবে মামাতো ফুফাতো দুই ভাইয়ের সলিল সমাধি ঘটেছে। এরা হলো- আসন্ন এইএচসি পরীক্ষার্থী মিহান (১৯) ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সাজিত (১৩)।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভারত সিমান্তবর্তী  গারো পাহাড়ঘেঁষা ভোগাই নদীর লক্ষীডোবায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সাথে ঘুরতে আসা স্বজনরা বলেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের স্কুল শিক্ষক আহাম্মদ আলীর ছেলে মিহান ও ময়মনসিংহ সদরের উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীরের ছেলে সাজিতসহ ১৮ জন মিলে পারিবারিকভাবে পানিহাতা পিকনিক স্পটে বেড়াতে আসে। দুপুরে পাহাড়ের গা ঘেঁষা ভোগাইয়ের নদীর লক্ষীডোবার কাছাকাছি মামাতো ফুফাতো ওই ২ ভাই গোসল করতে নামে।

এসময় তারা নদীর বালুচরে হাটতে গিয়ে অসাবধানতা বশত পা পিছলে প্রথমে সাজিত গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে। এসময় তাকে বাঁচাতে মিহান এগিয়ে গেলে জড়াজড়ি করে দুই ভাই গভীরে তলিয়ে যায়। সাথে আসা তাদের চাচা সোহরাব ভাগ্নে ও ভাতিজাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিলেও তিনি নদীতে থাকা পাথরে আঘাত পেয়ে পড়ে যান। ততক্ষণে দুই ভাই নিখোঁজ হয়ে যায়।পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর পাঠানো হলে বিকেল পৌণে ৪টার দিকে নদীর তলদেশ থেকে ২ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

স্বজনেরা জানায়,একটি বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন সবাই হালুয়াঘাটে সমবেত হয়।শুক্রবার বিয়ে শেষে শনিবার নারী ও শিশুসহ মোট ১৮ জন মিলে পানিহাতা পাহাড়ে বেড়াতে আসে।

এবিষয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,খবর পেয়ে দ্রুত জামালপুর থেকে নালিতাবাড়ীর ঘটনাস্থলে আসি। ডুবুরি নামানোর পর সল্প সময়ের মধ্যেই ২শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীতে ডুবে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় :

 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা পাহাড়ে বেড়াতে এসে ভোগাই নদীর পানিতে ডুবে মামাতো ফুফাতো দুই ভাইয়ের সলিল সমাধি ঘটেছে। এরা হলো- আসন্ন এইএচসি পরীক্ষার্থী মিহান (১৯) ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সাজিত (১৩)।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভারত সিমান্তবর্তী  গারো পাহাড়ঘেঁষা ভোগাই নদীর লক্ষীডোবায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সাথে ঘুরতে আসা স্বজনরা বলেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের স্কুল শিক্ষক আহাম্মদ আলীর ছেলে মিহান ও ময়মনসিংহ সদরের উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীরের ছেলে সাজিতসহ ১৮ জন মিলে পারিবারিকভাবে পানিহাতা পিকনিক স্পটে বেড়াতে আসে। দুপুরে পাহাড়ের গা ঘেঁষা ভোগাইয়ের নদীর লক্ষীডোবার কাছাকাছি মামাতো ফুফাতো ওই ২ ভাই গোসল করতে নামে।

এসময় তারা নদীর বালুচরে হাটতে গিয়ে অসাবধানতা বশত পা পিছলে প্রথমে সাজিত গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে। এসময় তাকে বাঁচাতে মিহান এগিয়ে গেলে জড়াজড়ি করে দুই ভাই গভীরে তলিয়ে যায়। সাথে আসা তাদের চাচা সোহরাব ভাগ্নে ও ভাতিজাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিলেও তিনি নদীতে থাকা পাথরে আঘাত পেয়ে পড়ে যান। ততক্ষণে দুই ভাই নিখোঁজ হয়ে যায়।পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর পাঠানো হলে বিকেল পৌণে ৪টার দিকে নদীর তলদেশ থেকে ২ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

স্বজনেরা জানায়,একটি বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন সবাই হালুয়াঘাটে সমবেত হয়।শুক্রবার বিয়ে শেষে শনিবার নারী ও শিশুসহ মোট ১৮ জন মিলে পানিহাতা পাহাড়ে বেড়াতে আসে।

এবিষয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,খবর পেয়ে দ্রুত জামালপুর থেকে নালিতাবাড়ীর ঘটনাস্থলে আসি। ডুবুরি নামানোর পর সল্প সময়ের মধ্যেই ২শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।