জাহাজের লস্কর আকাশই ৭ জনকে হত্যা করে
- আপডেট সময় : ০৪:২১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার জাহাজের লস্কর আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান (২৬) জানিয়েছেন, তিনি ক্ষোভ থেকেই জাহাজের মাস্টারসহ ৭জনকে একে একে হত্যা করে পালিয়ে যান।
প্রথমে তার হত্যার শিকার জাহাজের মাস্টার। পরের হত্যাকান্ড সংগঠিত করেন ধরা পড়ার ভয়ে। তবে ৭ খুনের সঙ্গে একই জড়িত। বুধবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের তরফে এসব তথ্য জানানো হয়।
কুমিল্লা নগরের শাকতলা এলাকায় র্যাব-১১-এর সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান র্যাব-১১-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
র্যাবের ভাষ্য, নিয়মিত বেতন-ভাতা ও ছুটি না পাওয়ার জেরে এমভি আল-বাখেরা জাহাজের মাস্টারের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন আকাশ। ঘটনার সময় খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে মাস্টারকে হত্যা করেন তিনি। এরপর চিন্তা করেন, অন্যরা জীবিত থাকলে তিনি সহজেই ধরা পড়ে যাবেন।
সেই চিন্তা থেকেই জাহাজের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। জাহাজে থাকা অন্য সাতজনকে আঘাত করেন। এর মধ্যে একজন বেঁচে যান।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা জাহাজটিতে হত্যার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১১ ও র্যাব-৬ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারি থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করে। জাহাজটিতে প্রায় ৮ মাস ধরে লস্কর পদে কর্মরত ছিলেন।
গ্রেপ্তারের সময় আকাশের কাছ থেকে একটি হ্যান্ড গ্লাভস, একটি ব্যাগ, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা, নিহত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পাঁচটি ও আকাশের ব্যবহৃত দুটিসহ মোট সাতটি মুঠোফোন এবং বিভিন্ন জায়গায় রক্ত মাখানো নীল রঙের একটি জিনস প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিকালে পাঁচজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ বাদী হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর থানায় একটি মামলা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেন।