ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

মুরাদনগরে মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে মনোমুগ্ধকর সরিষা ফুল

আলমগীর হোসেন, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি যখন রূপ বদলায়, তখন গ্রামাঞ্চলের ফসলের মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ চোখে পড়ে। গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ে হলুদ রঙের ছটা। মাঠজুড়ে সরিষার ফুলের সমারোহ যেন নতুন জীবনের বার্তা নিয়ে আসে। এসব ফলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতি প্রেমীরা সরিষা ক্ষেত দেখতে আসছেন, ছবি তুলছেন এবং সেলফি নিচ্ছেন। সরিষা চাষের সঙ্গে সঙ্গে মৌচাষও করছেন অনেকে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সবে মাত্র উঁকি দিচ্ছে সদ্য ফোটা সরিষা গাছের হলুদ বর্ণের ফুল। শীতের হিমেল হাওয়া, সরিষার রঙিন সমারোহ, আর মাঠের পেছনে বিস্তৃত সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে এক অপরূপ দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সরিষা ফুলের সঙ্গেই যেন মিশে আছে হাজারও কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। চলতি রবি মৌসুমেও সরিষা চাষে লাভের স্বপ্নে বিভোর উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯ ও বিনা-১১ সহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৯ হাজার ৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে জন প্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের কৃষক ফাহাদ মিয়া জানান, এই এলাকায় সরিষার চাষ বেশ ভালোই হয়। এই সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখতে উপজেলা শহর থেকে অনেকে আসেন। আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত গাছের অবস্থা বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে ভালো ফলনের আশা করছি।
সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সরিষার চাষ হয়েছে। ক্ষেতগুলো ফুলে ভরে গেছে। সবুজ মাঠজুড়ে হলুদ রঙ ছড়াচ্ছে। এ সৌন্দর্য্য দেখতে ও ছবি তুলতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, গ্রমের অনেক লোকজন শহরে বসবাস করে। শীত মৌসুম আসলেই অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সরিষা ক্ষেত দেখতে শহর থেকে গ্রামে ছুটে আসেন। এটা বেশ ভালো। শহরের যান্ত্রিক জীবনযাপন ভেদ করে কিছুটা সময় হলেও শেকড়ের গন্ধ পান তারা। তিনি আরো বলেন, এবার অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। সরিষার চাষ আরও বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের প্রনোদণা দেওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুরাদনগরে মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে মনোমুগ্ধকর সরিষা ফুল

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি যখন রূপ বদলায়, তখন গ্রামাঞ্চলের ফসলের মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ চোখে পড়ে। গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ে হলুদ রঙের ছটা। মাঠজুড়ে সরিষার ফুলের সমারোহ যেন নতুন জীবনের বার্তা নিয়ে আসে। এসব ফলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতি প্রেমীরা সরিষা ক্ষেত দেখতে আসছেন, ছবি তুলছেন এবং সেলফি নিচ্ছেন। সরিষা চাষের সঙ্গে সঙ্গে মৌচাষও করছেন অনেকে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সবে মাত্র উঁকি দিচ্ছে সদ্য ফোটা সরিষা গাছের হলুদ বর্ণের ফুল। শীতের হিমেল হাওয়া, সরিষার রঙিন সমারোহ, আর মাঠের পেছনে বিস্তৃত সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে এক অপরূপ দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সরিষা ফুলের সঙ্গেই যেন মিশে আছে হাজারও কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। চলতি রবি মৌসুমেও সরিষা চাষে লাভের স্বপ্নে বিভোর উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯ ও বিনা-১১ সহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৯ হাজার ৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে জন প্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের কৃষক ফাহাদ মিয়া জানান, এই এলাকায় সরিষার চাষ বেশ ভালোই হয়। এই সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখতে উপজেলা শহর থেকে অনেকে আসেন। আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত গাছের অবস্থা বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে ভালো ফলনের আশা করছি।
সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সরিষার চাষ হয়েছে। ক্ষেতগুলো ফুলে ভরে গেছে। সবুজ মাঠজুড়ে হলুদ রঙ ছড়াচ্ছে। এ সৌন্দর্য্য দেখতে ও ছবি তুলতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, গ্রমের অনেক লোকজন শহরে বসবাস করে। শীত মৌসুম আসলেই অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সরিষা ক্ষেত দেখতে শহর থেকে গ্রামে ছুটে আসেন। এটা বেশ ভালো। শহরের যান্ত্রিক জীবনযাপন ভেদ করে কিছুটা সময় হলেও শেকড়ের গন্ধ পান তারা। তিনি আরো বলেন, এবার অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। সরিষার চাষ আরও বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের প্রনোদণা দেওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।